পূর্ব পাকিস্তানের বেশিরভাগ মানুষের ভাষা বাংলা হওয়ায় বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করা ছিল যুক্তিসঙ্গত। তবে পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি না দিয়ে উর্ধ্বকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দিয়ে দেয়। যা বাংলার দামাল ছেলেরা মানতে না পেরে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যে আন্দোলনে “রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই” স্লোগানে বাংলার আকাশ বাতাস ভাড়ি হয়ে উঠেছিল।
বাঙালির এমন আন্দোলন পাকিস্তান সরকার না মেনে নিতে পারায় আন্দোলনরত ছাত্র সমাজের উপর গুলি বর্ষন শুরু করে। পুলিশের করা সেইগুলিতে রফিক, জব্বার, বরকত সহ অনেকেই শহীদ হয়েছিল। তাদের এই শহীদ হওয়াকে মর্যাদা দিতে একুশে ফেব্রুয়ারিকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই দিবস বর্তমানে অনেকেই মাতৃভাষা নিয়ে উক্তি, ছন্দ, কবিতা আবৃত্তি করার মাধ্যমে পালন করে থাকে।
মাতৃভাষা নিয়ে উক্তি
১৯৯৯ সালে ১৭ ই নভেম্বর ইউনেস্কো মাতৃভাষা দিবসকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস মাতৃভাষার গুরুত্ব ও মর্যাদা সমগ্র বিশ্বের সম্মুখে তুলে ধরে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশের পন্ডিত মনীষীরা মাতৃভাষা নিয়ে উক্তি ব্যক্ত করেছেন। অনেকেই এই সকল উক্তি জানার আগ্রহ প্রকাশ করে।
“মাতৃভাষা মানুষের মনের ভাব প্রকাশের সবচেয়ে সহজ ও সাবলীল মাধ্যম।” – কাজী নজরুল ইসলাম
“মাতৃভাষা হলো একজন মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।” – শেখ মুজিবুর রহমান
“মাতৃভাষা হলো সেই ভাষা যা আমাদের মায়ের কোলে শেখা হয়।” – মহাত্মা গান্ধী
“মাতৃভাষা হলো আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাহন।” – নেल्सন ম্যান্ডেলা
“মাতৃভাষা হলো আমাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার।”
“মাতৃভাষা হলো সেই ভাষা যা আমাদের হৃদয়ের সাথে কথা বলে।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
“মাতৃভাষা হলো সেই ভাষা যা আমাদের চিন্তাভাবনার মাধ্যম।” – মাইকেল মধুসূদন দত্ত
মাতৃভাষা নিয়ে স্ট্যাটাস
মায়ের মুখের ভাষা বাংলাকে নিজের করে পেতে বাঙালি জাতিকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে দিতে হয়েছে বুকের তাজা রক্ত। ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদেরকে বলা হয় ভাষা শহীদ। এই শহীদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়ার স্মৃতি স্মরণে প্রতি বছর মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
“মাতৃভাষা আমার গর্ব, আমার অহংকার।”
“মাতৃভাষা ছাড়া মানুষ অর্ধেক।”
“মাতৃভাষা ভালোবাসো, মাতৃভাষা শেখো।”
“মাতৃভাষায় কথা বলা আমাদের কর্তব্য।”
“মাতৃভাষা রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।”
মাতৃভাষা নিয়ে ক্যাপশন
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ১৯৫২ সালে বিশ্ব ইতিহাসে বাঙালি জাতি মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যে আত্মত্যাগের কারণে বাঙালি জাতির মাতৃভাষা দিবসকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যার কারনে এই দিবস প্রতি বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্মানের সাথে পালন করা হচ্ছে।
“মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য আজকের দিনটি।”
“একুশে ফেব্রুয়ারি, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।”
“আমাদের মাতৃভাষা বাংলা, আমরা এর গর্ব।”
“মাতৃভাষায় কথা বলে গর্ব করি।”
“মাতৃভাষা আমাদের ঐক্য ও সংহতির प्रतीक।”
মাতৃভাষা নিয়ে ছন্দ
বিশ্বের প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর মানুষের পরিচয় এর সেরা একটি মাধ্যম তাদের নিজস্ব মাতৃভাষা। তবে বাঙালি জাতির মাতৃভাষার পিছনে রয়েছে এক কালো অধ্যায়। যে কালো অধ্যায়ে আলোর রেখা টানতে বাংলার বহু দামাল ছেলেকে জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে।
“মায়ের কোলে যে ভাষা শিখেছি,
সেই ভাষা আমার মাতৃভাষা।
এই ভাষায় আমি কথা বলি,
এই ভাষায় আমি গান গাই।”
“বাংলা আমার মাতৃভাষা,
এই ভাষা আমার প্রাণ।
এই ভাষায় আমি লিখি,
এই ভাষায় আমি পড়ি।”
“একুশে ফেব্রুয়ারি,
ভাষা শহীদদের দিন।
তাদের ত্যাগ স্মরণে,
আজ আমরা শোক পালন করি।”
শেষ কথা
মাতৃভাষা বাংলার জন্য যারা নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করেছে তাদেরকে দেশ ও জাতি কখনোই ভুলবে না। প্রতি বছরই তাদেরকে স্মরণ করার জন্য অনেকেই মাতৃভাষা নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস দেওয়ার মাধ্যমে মাতৃভাষা দিবস পালন করে থাকে।
আরও দেখুনঃ
শহীদ দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
২১ শে ফেব্রুয়ারি ছন্দ , উক্তি , ছোট কবিতা
২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে ছোট কবিতা