হিজরী শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাত শবে বরাতের রাত হিসাবে পালন করা হয়ে থাকে। শবে বরাতের রাতকে অনেকেই সৌভাগ্যের রাত বলে থাকেন। কেননা মহান আল্লাহ পাক এই রাতে শিরিক কারি ও হিংসুক ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করেন যারা তার কাছে ক্ষমা চায়। এছাড়াও শাবান মাসের রোজার বিশেষ ফজিলতের কথা বর্ণিত রয়েছে।
শাবান মাস কে রমজান মাসের প্রস্তুতি নেওয়ার মাস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও হাদিসে শবে বরাতের দিনের বেলায় রোজা রাখার নির্দেশনা পাওয়ায় অনেকেই শবে বরাতের রোজা কয়টি তা জানার জন্য আগ্রহী হয়। নিচে রোজা সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে।
শবে বরাতের রোজা কয়টি
হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যখন তোমাদের নিকট মধ্য শাবানের রাত আসে তখন তোমরা সেই রাত জাগ্রত থেকে ইবাদত বন্দেগি কর ও দিনের বেলা রোজা রাখ। (ইবনে মাজা, হাদিস- ১৩৮৪)
হাদিস থেকে দেখা যায় শবে বরাত উপলক্ষে শুধুমাত্র শবে বরাতের দিনের বেলায় রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। তাই বলা যায় শবে বরাত উপলক্ষে একদিন রোজা রাখার নির্দেশনা পাওয়া যায়। তবে আপনারা চাইলে শাবান মাসে একাধিক রোজা পালন করতে পারেন।
শবে বরাতের রোজা কবে থেকে
প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ এই তিন দিনকে আইয়ামে বীজের রোজা বলা হয়। আইয়ামে বীজের রোজার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। আরবি মাসের তিনদিন আইয়ামে বীজের রোজা রাখলে আপনাকে আলাদাভাবে শবে বরাতের রোজা রাখতে হবে না।
আইয়ামে বীজের রোজা যেহেতু ১৩, ১৪ ও ১৫ এই তিন দিন পালন করা হয় এবং এই তিন দিনের মধ্যেই শবে বরাতের দিন হওয়ায় আইয়ামে বীজের রোজার মধ্যেই শবে বরাতের রোজা পালন হয়ে যায়। তাই শবে বরাত উপলক্ষে ১৩ তারিখ থেকে রোজা পালন শুরু করা উত্তম।
শবে বরাতের রোজা কত তারিখ
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাস সম্পর্কে বলেছেন, এটি এমন একটি মাস যে মাসে সকলের আমল সমূহ মহান আল্লাহ পাকের কাছে উপস্থিত করা হয়। এবং আমি পছন্দ করি যে রোজা রাখা অবস্থায় আমার আমল উপস্থিত করা হোক।
শাবান মাসের রোজার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খুবই গুরুত্বের সাথে পালন করতেন ও সাহাবায়ে কেরামকে শাবান মাসের রোজা রাখার জন্য উৎসাহিত করতেন। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই বছর আগামী ২৫ শে ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করা হবে।
শবে বরাতের রোজা কি বারে
অনেক বর্ণনায় শাবান মাসকে চাষাবাদের মাস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) রমজান মাস ব্যতীত অন্য কোন মাসে শাবান মাসের তুলনায় এত বেশি রোজা রাখতেন না। আগামী ২৫ শে ফেব্রুয়ারি রোজ রবিবার দিনের বেলা পবিত্র শবে বরাত রোজা পালন করা হবে।
শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ত
শবে বরাত উপলক্ষে নফল রোজা পালন করার জন্য আলাদাভাবে কোন নিয়ত করার প্রয়োজন হয় না। তবে আপনি চাইলে “আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে আমি শবে বরাতের নফল রোজা রাখার নিয়ত করছি“ এভাবে শবে বরাতের নফল রোজার জন্য নিয়ত করতে পারেন।
শেষ কথা
আপনারা যারা শবে বরাতের রোজা কয়টি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলেন আশা করছি তা জানতে পেরেছেন। অনেকেই বলেন শবে বরাতের রাতে ভাগ্য অনুলিপি করা হয় এবং এই সম্পর্কে কিছু সনদ ও তারা পেশ করে যা অত্যন্ত দুর্বল বলে বিবেচিত হয়।
আরও দেখুনঃ