বিকাশ একাউন্ট বন্ধ  হলে করণীয় ২০২৫

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ  হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব।  বর্তমানের বিকাশ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে রয়েছে।  বিকাশ ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।  বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি যখন প্রথম মার্কেটে আসলো তখন একজন ব্যক্তি একের অধিক বিকাশ একাউন্ট করতে পারত।

কিন্তু বিকাশ একাউন্টের নিরাপত্তার স্বার্থে 2020 সাল হতে একটি এনআইডি কার্ড  দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট  খোলার অনুমতি প্রদান করেন।  তাই একটি এনআইডি কার্ড  দিয়ে একাধিক একাউন্ট কে বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।  তখন বিকাশ একাউন্ট কারীগণ নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়ে  পড়েন। এটাই ছিল বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ।

আমরা যারা বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করিতাদেরকে কোন বেশি এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।  বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ায় অনেক কারণ রয়েছে।  কারণ বা সমস্যা ওপর ভিত্তি করে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়। একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া বিকাশ একাউন্ট কিভাবে সচল করা যায় সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবো।  ধৈর্য ধরে  আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কিছু কারণ

নানাবিধ কারণে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে আপনাকে প্রথমে  শনাক্ত করে নিতে হবে কী কারণে আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হয়ে গেছে। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ টি নির্ণয় করে একাউন্ট সচল করতে হবে।  প্রয়োজনবোধে আপনাকে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে একাউন্ট সচল করতে হবে। যেসব কারণে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয় তা হল।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কিছু কারণ
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কিছু কারণ
  • ৩০ মিনিট এর মধ্য বার ভুল পিন প্রয়োগ করলে।
  • একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে একের অধিক একাউন্ট  খুললে।
  • বিকাশ একাউন্ট এর তথ্য সঠিক না হলে।
  • দীর্ঘদিন যাবৎ বিকাশ একাউন্টে লেনদেন না  করার কারণে।
  • একই ফোন নম্বরে খুব কম সময়ের মাঝে বারবার রিচার্জ করলে
  • সিম রিপ্লেস করলে।

আশা বুঝতে পেরেছেন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য কারন। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয় কি সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হল।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয়

আমরা যারা বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করি তাদের কমবেশি এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিকাশের টেম্পোরারি লক নামে একটি অ্যাকাউন্ট বন্ধের নোটিশ প্রদান করা হয়।  এটি হচ্ছে আপনি যদি 30 মিনিটের মধ্যে তিনবার  ভুল  পিন টাইপ করেন তাহলে হয়ে থাকে। 

এই সমস্যার সমাধানের জন্য আপনাকে বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭  নাম্বারে কল দিয়ে ঠিক করে নিতে পারবেন। বিকাশ হেল্প লাইনে কল করার  পূর্বে আমাদের কিছু তথ্য রাখতে হবে।  বিকাশ একাউন্ট কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা সেই এনআইডি কার্ড সাথে রাখা। আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স কত টাকা আছে তা জানা।  

সর্বশেষ আপনি কি ধরনের লেনদেন করেছেন তার দুটি তথ্য সংরক্ষণ করা। এসব তথ্য সংরক্ষণ করে হেল্প সেন্টার ১৬২৪৭  কল করে আপনার পিনটি  পুনরায় ফিরে  আনতে পারেন। তবে এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে আপনারা  অ্যাকাউন্টটি যদি মেয়েদের এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে থাকেন।  তাহলে মেয়েদের তারাই কল দিয়েন সমস্যার সমাধান করতে হবে।  আর ছেলেদের এন আইডি দ্বারা অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করা হলে ছেলেদের  ভয়েস   কথা বলতে হবে।

একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে একের অধিক একাউন্ট  খুললে সমস্যার সমাধান

একটি এন আই ডি কার্ড দিয়ে একের অধিক অ্যাকাউন্ট খোলা হলে ধারাবাহিক  ভাবে অ্যাকাউন্ট গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ যখন প্রথম বিকাশ এর আবির্ভাব ঘটে তখন একটি আইডি কার্ড দিয়ে অনেকগুলো বিকাশ একাউন্ট খোলা যেত। 

কিন্তু একটা সময় পর লেনদেনের নিরাপত্তার স্বার্থে একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে একটি একাউন্টের  অধিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা  হয়। এই সমস্যার কারণে যদি আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হয়ে থাকে। তাহলে আপনার নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার গিয়ে  একটি একাউন্ট সচল করে নিতে হবে।

বিঃদ্রঃ− (বিকাশ একাউন্ট বন্ধ  হলে করণীয় গুলোর একটি হল কাস্টমার কেয়ারে যাওয়ার সময় অবশ্যই এনআইডি কার্ড এবং পূর্বের একাউন্টকিত সিমগুলো সাথে নিয়ে যাবেন)

বিকাশ একাউন্ট এর তথ্য সঠিক না থাকার কারণে

বিকাশ একাউন্টে তথ্য সঠিক না থাকার কারণে  আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।  আপনার বন্ধ হওয়া বিকাশ একাউন্ট সচল করার জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষকে সঠিক তথ্য দিতে হবে।  এজন্য আপনাকে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি সাথে কথা বলতে হবে।

দীর্ঘদিন যাবৎ বিকাশ একাউন্টে লেনদেন না  করার কারণে

দীর্ঘদিন যাবৎ একাউন্টে  লেনদেন না করার কারণেই  অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভ হয়ে যেতে পারে।  কারণে আপনার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেনদেন অবশ্যই করতে হবে।  বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে বিকাশ সেন্টার ১৬২৪৭  কল দিয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।

একই ফোন নম্বরে খুব কম সময়ে বারবার রিচার্জ করলে

একটি ফোন নাম্বার   বারবার  রিসার্চ হওয়ায় অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হতে পারে।  তাই  রিচার্জ এর ক্ষেত্রে  সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।  বিকাশ থেকে আপনি সহজেই প্রতি মাসের রিচার্জ লিমিট জানতে পারবেন।

সিম রিপ্লেস কারণে আকাউন্ট বন্ধ হলে

সিম রিপ্লেস করার কারণে বিকাশ একাউন্ট ২৪ ঘন্টার জন্য বন্ধ হয়ে থাকে। কোন কারনে যদি আপনার সিম রিপ্লেস করার প্রয়োজন হয় বিকাশ একাউন্ট নিয়ে ভয় পাবেন না।  24 ঘন্টা পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার একাউন্টে পূর্বের ন্যায় সচল হয়ে যাবে।

শেষ কথা

আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ  হলে করণীয় কি। এবং বোঝানোর চেষ্টা করেছি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ সংক্রান্ত  সকল তথ্য  আপনি কিভাবে আপনার বন্ধ হয়ে যাওয়া বিকাশ একাউন্টটি ফিরে পেতে পারেন।  

আপনার বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয় কি।  কি কি বিষয় বিষয় জানতে হবে আপনার অ্যাকাউন্টে  চালু করতে। আশা করি সহজেই বিকাশ আকাউন্ট ঠিক করে নিতে পারবেন। তারপরও বিকাশ বিকাশ একাউন্ট সমপর্কে যে কোন তথ্যের জন্য আমাদের সাইটের সাথেই থাকবেন। কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে জানাবেন।

আরো পড়ুনঃ

Comments are closed.

Scroll to Top