মোবাইল ব্যাংকিংয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে বিকাশ। প্রতিদিন শত শত কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে এই বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। সময় খুব দ্রুত নিজের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়। তা না হলে, কিছুদিন আগে মানুষ তার প্রিয়জনের কাছে টাকা উঠানোর জন্য যাতায়াত, পোস্ট অফিস, বা ব্যাংকের সাহায্য নিতে হতো। এসব পদ্ধতি ছিল অনেক সময় সাপেক্ষ।
অল্প সময়ের মধ্যে টাকা পাঠানো কোন ভাবেই সম্ভব হতো না। যার ফলে অনেক সহজ কাজ কঠিন হয়ে যেত । তখন সেই অর্থ আর কোনো কাজে আসতো না। তাই অর্থের আদান-প্রদানের প্রয়োজনে মানুষের সেই সংকটে মোকাবেলায় মানুষের পাশে এসেছে বিকাশ।
বিকাশ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ। একজন গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে নতুন বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। এছাড়াও বিকাশের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ঘরে বসেই বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়৷ এছাড়াও বিকাশ এজেন্ট কিংবা কাস্টমার কেয়ারে গিয়েও বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।
এই পর্বে আমরা বিকাশ একাউন্ট কিভাবে খুলতে হবে, কত ধরনের বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়, কোথায় ঘুরতে হবে, খরচ কত এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ।
বিকাশ কি??
সবার প্রিয় বিকাশ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন এবং অনলাইন ভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর (এমএফএস) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান । বিকাশের মাধ্যমে লোকজন মুহূর্তের মধ্যেই দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টাকা পাঠাতে পারে । বিকাশ পরিচালনা করে সরাসরি ব্র্যাক ব্যাংক। USD Code *247# ডায়াল করে বিকাশের ব্যালেন্স সহ সকল সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে । তাছাড়া অ্যাপসের মাধ্যমে বিকাশ গ্রাহক তাদের ব্যলেন্স সহ সেন্ড মানি, ক্যাশ আউট, বিল পে, এ ধরনের সেবা নিতে পারেন
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
গ্রাহক সেবার দিক থেকে বিকাশ সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। যার কারণে দেশের অল্প শিক্ষিত লোকেরা বিকাশ ব্যবহার করে থাকেন। বিকাশের সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলো খুব সহজ এবং সরল যার ফলে সহজেই যে কেউ বিকাশে সদস্য হতে পারে। কেউ চাইলে ঘরে বসেই বিকাশ একাউন্ট খুলে নিয়ে এর সুবিধা উপভোগ করতে পারে অথবা সার্ভিস পয়েন্টে গিয়ে খুব সহজে এজেন্ট একাউন্ট করে নিতে পারে । কিভাবে বিকাশ একাউন্ট করতে হয় তা ধাপে ধাপে নিম্নে তুলে ধরা হলো ।
বিকাস একাউন্ট আপনি তিনভাবে খুলতে পারবেন:
১। এপ্লিকেশনের মাধ্যমে।
২। এজেন্টের মাধ্যমে।
৩। কাস্টমার কেয়ার এ গিয়ে
এপ্লিকেশন (অ্যাপ) এর মাধ্যমে ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি
অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপসের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট করা খুব সহজ । আপনি নিজেই ঘরে বসে খুব সহজে নিজের একাউন্ট করে নিতে পারবেন । নিজে নিজে কোন করার জন্য যেসব স্টেপগুলো করতে হবে তা হল:
অ্যাপসের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম
১/ প্রথমে আপনাকে আপনার এন্ড্রয়েড/স্মার্ট মোবাইল ফোন থেকে গুগল প্লে স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপস ইন্সটল করে নিতে হবে।
২/ অ্যাপস এই প্রথম ইন্টারফেস পাবেন একটি রেজিস্টার অন্যটি সাইনআপ যেহেতু আপনি নতুন একাউন্ট করবেন তাই রেজিস্টার বাটনে প্রেস করতে হবে ।
৩/ তারপর আপনার অপারেটর অপশন বেছে নিয়ে ল্যাঙ্গুয়েজ সিলেক্ট করতে হবে
সব নিয়মাবলী এবং শর্ত মেনে নিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের দুপাশের ছবি তুলতে হবে
এসব তথ্য দেওয়ার পর আপনাকে পরবর্তীতে আরও কিছু এক্সট্রা তথ্য যোক করতে হবে যেমন লিঙ্গ, পেশা, এবং আয়ের উৎস ইত্যাদি
এবার আপনাকে লাইভ ছবি দিতে হবে । ছবি দেওয়ার সময় খেয়াল করবেন পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো । আছে কিনা কারণ আলোতে আপনার ছবি ডিটেক্ট করতে সুবিধা হবে।
এরপর বিকাশ থেকে একটি কনফার্মেশন এসএমএস আসবে।
সব শেষে বিকাশের কোড *247# ডায়াল করে বিকাশের ৫ ডিজিটের একটি এলোমেলো পিন নম্বর সেট করে নিলেই আপনার একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।
এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
সহজেই এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাইলে সবার আগে আপনাকে আপনার আশেপাশে নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টের কাছে যেতে হবে। আপনি যে কোন করতে চান তা বিকাশ প্রতিনিধির কাছে জানাতে হবে । বিকাশ প্রতিনিধি আপনার কাছে কিছু কাগজপত্র তথ্য জানতে চাবে আপনাকে দিতে হবে। তথ্যগুলো হল
- অরিজিনাল আইডি কার্ড।
- একটি মোবাইল নাম্বার (যে নাম্বারে কোন বিকাশ অ্যাকাউন্ট করার নাই)।
- এবং মোবাইল ।
এজেন্ট প্রতিনিধি আপনার সর্বপ্রথম মোবাইল নাম্বারটি নিবে।
- তারপর উনি প্রয়োজনীয় কাজ করবে
- তারপর জাতীয় পরিচয় পত্রের দুপাশের ছবি উঠাবেন
- নাম ঠিকানা এবং আয়ের উৎস জানতে চাইবেন
সকল তথ্য পূরণ করার পর আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি মেসেজ যাবে সেখানে একটি ছয় নাম্বারের কোড থাকবে যা এজেন্ট প্রতিনিধিকে দিতে হবে।
এবার আপনার মোবাইলে সাকসেসফুল মেসেজ আসবে
এরপর আপনাকে *24৭# ডায়াল করে ৫ সংখ্যার এলোমেলো পিন করে সেট করে নিতে হবে।
ভুল করেও আপনার পিনটি বিকাশ এজেন্ট প্রতিনিধি বা অন্য কাউকে জানানো যাবে না এটি আপনার পার্সোনাল ব্যক্তিগত তথ্য।
কাস্টমার কেয়ার এ গিয়ে বিকাশ একাউন্ট
কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে কাস্টমার প্রতিনিধি কে আপনি যে একাউন্ট করবেন তাদেরকে বিষয়টি জানাতে হবে । সেখানে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিতে হবে তা হচ্ছে
- ভোটার আইডি কার্ড
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- মোবাইল সহ নাম্বার
এজেন্ট প্রতিনিধি আপনাকে সকল কাজ সম্পাদন করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দিবেন। শুধু পিন নাম্বারটি আপনি কাউকে দিবেন না। মনে রাখবেন পিন নাম্বার আপনার একান্তই ব্যক্তিগত এই পিন নাম্বার কাউকে শেয়ার করবেন না।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
Bkash নিরবিচ্ছিন্ন মানসম্মত সেবার কারণে বিকাশ আস্থা অর্জন করে নিয়েছে এদেশের শত শত মানুষের মনে। তাই আজকাল সকলের ঘরে ঘরে রয়েছে বিকাশ একাউন্ট। দিন দিন বিকাশের জনপ্রিয়তার বৃদ্ধির ফলে বিকাশ এজেন্ট সিমের প্রয়োজন অত্যাবশ্যকীয়। কিন্তু অনেকেই জানেন কিভাবে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে হয়। বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট নিজে নিজে খোলা যায় না । নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ফলো করে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলা যায় । বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সহ বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো।
এজেন্ট একাউন্ট খোলার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র –
- জাতীয় পরিচয়পত্র/লাইসেন্স/ পাসপোর্ট।
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- সচল মোবাইল নাম্বার। (যে নাম্বারে পূর্বে কোন বিকাশ অ্যাকাউন্ট করা নাই)
- দোকানের ট্রেড লাইসেন্স।
- আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম।
সকল তথ্যাদি পূরণ করে আপনাকে বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের যোগাযোগ করতে হবে। দায়িত্বে থাকা অফিসের কর্মকর্তা আপনাকে ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তাদের সাথে যোযাযোগ করতে বলবে অথবা আপনার কাজ সম্পন্ন হলে আপনাকে জানাবে।
একটি আইডিকার্ড দিয়ে কয়টি একাউন্ট খোলা যায়
ব্যক্তিগত প্রয়োজনে হউক কিংবা অন্য ব্যবসায়িক কাজে হোক না কোন আমাদের মাঝে মাঝে একাধিক বিকাশ একাউন্টের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন একটি আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়?
আপনাদের অবগতির জন্য, জানিয়ে রাখা ভালো যে একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে শুধুমাত্র একটি বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে। একটি আইডি কার্ড দিয়ে একটি বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে । যদি কোনো কারণবশত একাধিক একাউন্ট করে থাকেন তাহলে আপনাকে বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করে একটি একাউন্ট সচল রাখতে হবে । তা না হলে আপনার সবগুলো account বন্ধ করে দেওয়া হবে বিকাশ থেকে । তাই একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট করাই ভালো ।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
যদি আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয়, সেই ক্ষেত্রে আপনি কোনো ধরণের ন্যাশনাল আইডি কার্ড পাবেন না। কিন্তু যদি আপনি বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান । তাহলে আপনি বিকাশ এপস এর মাধ্যমে কোনোভাবেই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না । কারণ বিকাশের এই অ্যাপ্লিকেশনে জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে একাউন্টের পারমিশন দেয়নি ।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে একাউন্ট খুলতে আপনাকে যেতে হবে বিকাশ এজেন্টের কাছে। আপনাকে আপনার দুইকপি ছবি, জন্ম নিবন্ধন নিয়ে যেতে হবে বিকাশ এজেন্টের কাছে। তারাই আপনাকে একাউন্ট খুলতে সাহায্য করবে।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনি বিকাশ একাউন্ট কিভাবে খুলে তা জানতে পেরেছেন তাই এখন আমরা বিকাশ ব্যালেন্স কিভাবে দেখতে হয় । সেই বিষয় নিয়ে এখন আলোচনা করব বিকাশ একাউন্ট দেখার একদম সহজ ।
- প্রথমেই আপনাকে ইউএসডি *247#ডায়াল করে বিকাশ মেনু প্রবেশ করুন
- তারপর আপনাকে 7 নাম্বার অপশনে ক্লিক করুন
- তারপর আপনাকে 1 নাম্বার অপশনে ক্লিক করুন
- এখন আপনার গোপন 5 ডিজিট এর ৪ ডিজিটের পিন নাম্বার প্রবেশ করান
- এবং ওকে বাটনে প্রেস করুন
মুহূর্তের মধ্যে দেখতে পাবেন আপনার কাঙ্খিত বিকাশ ব্যালেন্স ।
বিকাশ এপস এর মাধ্যমে একাউন্ট দেখার নিয়ম
B-kash Apps এর মাধ্যমে একাউন্ট সহ সমস্ত কার্যক্রম করা অনেক সহজ । কেননা এতে ডিসপ্লেতে সব গুলো ফেচার ভেসে থাকে আপনার যখন যা ইচ্ছে তাই করতে পারবেনঅ শুধু স্কিন টাচ করার মাধ্যমে।
বিকাশ এপস এর মাধ্যমে একাউন্ট দেখার নিয়ম
সর্বপ্রথমেই দেখতে পাবেন আর ব্যালেন্স চেক অপশন আর তখনই প্রেস করা মাত্রই আপনার ব্যালেন্স দেখতে পাবেন ।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
অনেক সময় মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে, সিম পরিবর্তন করলে, সিম হারিয়ে গেল, কোন কাজে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার প্রয়োজন পরে। কিন্তু এ বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা অনেক সময়ের ব্যাপার । এটি আপনি কোনো ওয়েবসাইট কিংবা এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে করতে পারবেন না।
কাজটির জন্য আপনাকে প্রথমে বিকাশের অফিসে যেতে হবে।
যে কোন বিকাশের নির্দিষ্টি অফিসে গিয়ে আপনাকে যে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে একাউন্ট খুলেছেন সেই কার্ডটি সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।
যদি আপনি অন্য কারো নাম একাউন্ট করা থাকে তাকে সাথে করে নিয়ে জিতে হবে।
তারপর সমস্ত নিয়মাবলী পূরণ করে ডিলিটকৃত একাউন্টের ব্যালেন্স জিরো করে ডিলেট করতে হবে একাউন্ট।
কিভাবে বিকাশ একাউন্ট ব্যালেন্স জিরো বা শূন্য করবেন
আপনার বিকাস ব্যালেন্স 0 করতে প্রথমে আপনাকে কোন এক বিকাশ পার্সোনাল নাম্বারে সেন্ড মানি করতে হবে সেন্ড মানি টাকার পরিমাণ উল্লেখ করার সময় আপনার মূল ব্যালেন্স এ পয়সাকে উল্লেখ করে দিতে হবে যেমন 500.৭৫ পয়সা । এভাবে সেন্ড মানি করলে আপনার ব্যালেন্স জিরো হয়ে যাবে তাহলেই আপনি বিকাশ একাউন্ট পরিবর্তন করতে পারবেন বা বন্ধ করতে পারবেন
বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন
অনেক সময় আইডি কার্ড না থাকাতে, অন্য কারো আইডি দিয়ে বিকাশ একাউন্ট করতে হয়। কিছুদিন বিকাশ একাউন্ট সচল থাকার পর হঠাৎ করেই দেখা যায়। যার নামে আইডি কার্ড রয়েছে উনি আবার বিকাশ একাউন্ট বা এ ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ট্রাই করেন তখন ওনাকে দেখায় যে আপনার নাম্বারে বিকাশ করা আছে। তখনই মূলত ঝামেলাটা হয় এবং বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় ।
মোবাই্মাল ব্যাংকিং মালিকানা পরিবর্তন অত্যান্ত কষ্টের একটি কাজ যার কারণে ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় । নিজে নিজেই বা কোন এজেন্টের প্রতিনিধির ধারায় মালিকানা পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না । মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে হয় । মালিকানা মালিকানা পরিবর্তন করতে গেলে একসাথে দুজনকে উপস্থিত থাকতে হবে। সকলেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তাদের মোবাইল নাম্বার সঙ্গে রাখতে হবে। যেসব তথ্য কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি কে দিতে হবে তা নিচে দেওয়া হল
- আপনি যে একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করতে চান সেই একাউন্ট সচল রাখতে হবে।
- আপনার একাউন্টে আপনার কত টাকা বিদ্যমান রয়েছে তা জানাতে হবে।
- যে নম্বরে একাউন্ট রয়েছে সেই নাম্বার সচল থাকতে হবে। অর্থাৎ অন্য কোন বিকাশ অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না
- যার নাম একাউন্ট রয়েছে তার একটি ছবি লাগবে সাথে আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- যার নাম একাউন্ট পরিবর্তন করে নিতে চান তার এক কপি রঙিন ছবি।
বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন
অনেক ক্ষেত্রে আমাদের বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। একাউন্ট পরিবর্তন করার জন্য নিম্নোক্ত বিষয় দেখতে হবে–
বিকাশের হেল্পলাইনে *২৪৭# কল দিতে হবে।
হেল্পলাইনে নিয়োজিত ব্যক্তি আপনার একাউন্টের এর সত্যতা যাচাই করার জন্য আপনার একাউন্টের নাম ও একাউন্ট নাম্বার এবং টাকার পরিমান জিজ্ঞেস করবে।
সমস্ত তথ্য পাওয়ার পর আপনার সমস্যার কথা জানতে চাইবে।
পরবর্তীতে তাদের নিৰ্দেশনা অনুযায়ী একাউন্ট পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্নসমুহ
কে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবে?
উত্তরঃ ১৮ বছর বা তার অধিক বয়সী বাংলাদেশের নাগরিক যার ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট/ ডাইভিং লাইসেন্স আছে তারাই মূলত বিকাশ একাউন্ট করতে পারেন।
বিকাশ একাউন্ট খুলতে কত টাকা খরচ হয়?
উত্তরঃ বিকাশ একাউন্ট খুলতে কোনো টাকা খরচ হয় না,আরো বিকাশ একাউন্ট খুললে অনেক সময় বিকাশে থেকে টাকা দেওয়া হয়।
বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি ব্যাংক একাউন্ট লাগে?
উত্তরঃ না, বিকাশ একাউন্ট খুলতে কোন ব্যাংক একাউন্ট লাগেনা শুধু ভোটার আইডি থাকলেই চলে।
বিকাশ এর পিন ভুলে গেলে কি করবো?
বিকাশের পিন ভুলে গেলে আপনাকে *247# কল করতে হবে । তারপর আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তাদেরকে দিতে হবে। এরপর আপনার পিন পরিবর্তনের জন্য রিকোয়েস্ট করতে হবে।
বিকাশ একাউন্ট খুলতে কোথায় যেতে হবে?
উত্তরঃ বিকাশ একাউন্ট খুলতে কোথাও যাওয়া লাগবে না যদি আপনার হাতে একটি স্মার্টফোন থাকে। যদি আপনার হাতে স্মার্টফোন না থাকে তাহলে আপনার নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার অথবা বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।
একটি NID দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে?
উত্তরঃ বর্তমানে একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে একটি একাউন্ট খোলা যায় । একটি বিকাশ একাউন্টের বাইরে দুইটি অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব নয়।
অ্যাপ ছাড়া কি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ। তবে সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই বিকাশ এজেন্টের কাছে অথবা বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে ।
শেষ কথা
বিকাশ একাউন্ট খোলা অনেক সহজ যদি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানতে পেরেছেন। আপনার যদি একটি পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট না থাকে তাহলে স্মার্টফোনের মাধ্যমে সহজেই ঘরে বসে একাউন্ট খুলতে পারেন। তাছাড়া Bkash এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে একাউন্ট খুলতে পারেন। মনে রাখবেন বিকাশ একাউন্ট খুলতে কোন প্রকার খরচ লাগে না।
আপনার একটি বিকাশ একাউন্ট থাকলে সেখান থেকেই মোবাইলে রিচার্জ দিতে পারবেন যেকোন সময়। যেকোনো সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে টাকা সেন্ড করতে পারবেন। ক্যাশ আউট, বিল পে, করা যায়। মুহুর্তের মধ্যে টাকা পাঠানোর জন্য বিকাস কারেন্টের মত কাজ করে।
আরও দেখুনঃ
Comments are closed.