17 ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে কবিতা ২০২৪

আসছে আগামী ১৭ই মার্চ শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির গর্ব শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মদিন। তার এই জন্মদিন কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট বড় অনুষ্ঠান করা হয়। এই সকল অনুষ্ঠানে নিত্য পরিবেশনা, দেশাত্মবোধক গান সহ কবিতা আবৃত্তি করা হয়।

এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন কে কেন্দ্র করে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১৯২০ সালে লুৎফর রহমানের ঘরে জন্ম নেন দেশ নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

কিশোর বয়স থেকেই যিনি বাংলার মানুষের জন্য রাজপথের সংগ্রাম করে গেছেন। বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে করেছেন বিভিন্ন আন্দোলন ও মিটিং মিছিল। তার এই সকল সংগ্রাম ও আন্দোলনকে বাংলার মানুষ চিরস্মরণীয় করে রেখেছে

17 ই মার্চের কবিতা

বাঙালি জাতির মহা নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের মার্চ মাসের ১৭ তারিখ জন্মগ্রহণ করে। তিনি জন্মগ্রহণ না করলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেত না। তাই তার জন্মদিন কে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দোয়া মাহফিল ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়।

“বঙ্গবন্ধু”
কবি: সুভাষ মুখোপাধ্যায়

তুঙ্গীর পাড়ে,
গোপালগঞ্জের মাটিতে,
জন্মেছিলেন তিনি,
নবজাগরণের আলো ছড়িয়ে.

বাংলার মানুষের,
দুঃখ-দর্দ বুঝে,
স্বাধীনতার ডাক,
দিয়েছিলেন তিনি.

“স্বাধীনতার পথে”
কবি: মীর মশাররফ হোসেন

নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ,
অগণিত শহীদের ত্যাগে,
স্বাধীন বাংলাদেশ,
হয়েছিল অর্জিত.

স্বাধীনতার পর,
জাতির পুনর্গঠনে,
নিরলস পরিশ্রমে,
দিয়েছিলেন নেতৃত্ব.

“শোকের দিন”
কবি: আল মাহমুদ

কিন্তু বর্বর হত্যাকারী,
নিভিয়ে দিলেন প্রদীপ,
শোকের সাগরে,
ডুবে গেল বাংলাদেশ.

তবুও তার আদর্শ,
আমাদের হৃদয়ে,
চিরকাল জ্বলবে,
এক উজ্জ্বল দীপ্তির মতো.

১৭ই মার্চ শিশু দিবসের কবিতা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বপ্রথম ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তার এই ভাষণ লাখো জনতার উৎসাহের মূল। তিনি ১৭ই মার্চে জন্মগ্রহণ করেন তাই এই দিন বাংলাদেশে শিশু কবিতার আয়োজন করা হয়।

সূর্যোদয়ের আলোয় ঝলমল করে,
বাংলার আকাশে রঙিন রুপ,
আজকের দিনটি বিশেষ করে,
ঊনবিংশতি মার্চের অভিষেক।

টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে জন্ম নেওয়া,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,
জাতির জনক, স্বাধীনতার সূর্য,
তার জন্মদিন আজ, আনন্দের দিনমান।

শিশুদের মুখে হাসি ফুটে,
আনন্দে মাতোয়ারা দেশ,
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধারণ করে,
শিশু দিবস পালন আজ সকলেই।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে কবিতা

ইংরেজি মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার চেতনা। তার এই চেতনাকে বুকে ধারণ করে বাংলার লাখো জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয়। তাদের এই রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা। তার এই জন্মদিনে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন কবিতা আবৃত্তি করে স্মরণীয় করে রাখতে চান।

‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান,
ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।
দিকে দিকে আজ অশ্রুমালা রক্তগঙ্গা বহমান
তবু নাই ভয় হবে হবে জয়, জয় মুজিবুর রহমান।’

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন
মার্চের বাতাসে,
আজ সুর বেদনার,
শোকের সাথে মিশে,
আনন্দের বন্যা.

জন্মদিন আজ,
জাতির জনকের,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব,
স্বাধীনতার নেতার.

তুঙ্গীর পাড়ে,
গোপালগঞ্জের মাটিতে,
জন্মেছিলেন তিনি,
নবজাগরণের আলো ছড়িয়ে.

বাংলার মানুষের,
দুঃখ-দর্দ বুঝে,
স্বাধীনতার ডাক,
দিয়েছিলেন তিনি.

নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ,
অগণিত শহীদের ত্যাগে,
স্বাধীন বাংলাদেশ,
হয়েছিল অর্জিত.

স্বাধীনতার পর,
জাতির পুনর্গঠনে,
নিরলস পরিশ্রমে,
দিয়েছিলেন নেতৃত্ব.

কিন্তু বর্বর হত্যাকারী,
নিভিয়ে দিলেন প্রদীপ,
শোকের সাগরে,
ডুবে গেল বাংলাদেশ.

তবুও তার আদর্শ,
আমাদের হৃদয়ে,
চিরকাল জ্বলবে,
এক উজ্জ্বল দীপ্তির মতো.

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব,
অমর হয়ে থাকবেন,
বাংলার মানুষের,
হৃদয়ে চিরকাল.

১৭ই মার্চ উপলক্ষে কবিতা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ এই কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে থাকে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন

হে বঙ্গবন্ধু তোমার শুভ জন্মদিন,
কেমনে শুধি তব ভালবাসার ঋন।
উনিশশত বিশে জন্ম টুঙ্গীপাড়ায়,
বঙ্গের স্বাধীকার রক্ষায় জেলে যায়।
ভাষা আন্দোলনের অগ্রপথের নেতা,
কত শত প্রতিরোধ হেথা আর হোথা।
জীবনের মোহ ছাড়ি বিদ্রোহের রণ,
সাত মার্চ কন্ঠে তোমার শ্রেষ্ট ভাষন।

জন্মে তোমার পেলাম বাংলা স্বাধীন,
মোরা নই আজ হেথা কারোর অধীন।
কিছু কুলাঙ্গার নিলো তোমার জীবন,
শোক মুহ্যমান মোর হৃদয়ে ক্রন্দন।
জন্মদিনের প্রার্থনা খোদা তুমি নাও,
বাংলায় আর একটি মুজিব দাও।

১৭ ই মার্চের কবিতা

ইংরেজি বছর এর মার্চ মাসের ১৭ তারিখ বাংলাদেশের জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও শিশু শ্রম বন্ধসহ শিশুদের নিরাপদ রাখার জন্য প্রতিবছর শিশু দিবস পালন করা হয়। শিশু দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শিশু কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করা হয়।

সতেরো মার্চ
কবি ওয়াসিফ এ খোদা

“ভোরের পাখি বলল এসে
আজ একটা দিন রঙ্গিন
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন
ফুলের বাগান বলল হেসে
বন্ধুকে আজ পুষ্প দিন
টকটকে লাল গোলাপ নিন
বঙ্গসাগর হাজার নদী
শাপলা ফোটা ঝিল অবধি
জাগল সাড়া ভালোবেসে
ছড়িয়ে গেল বাংলাদেশে
হাসি খুশি এ মিলনমেলা
রোদ বৃষ্টি সারাবেলা
কি আনন্দ নৃত্যকৃত
হোক প্রতিক্ষণ আলোকিত”

শিশু দিবসের ছড়া

মুজিব
মজনু মিয়া

তুমি ছিলে তুমি রবে
শেখ মুজিবুর রহমান,
তোমার কৃতি তোমার স্মৃতি
চিরদিনি বহমান।

আগস্ট এলে শোকের দু’চোখ
ব্যথার জলে যায় ভরে,
তোমার গড়া বাংলাদেশে
শোক পতাকায় জল ধরে।

অমর অবিস্মরণীয়
জাতীয় নেতা তুমি,
বিশ্ব মাঝে উজ্জ্বল তুমি

শেষ কথা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির প্রতীক। বাঙালি জাতির এই মুক্তির প্রতীকে ষড়যন্ত্র করে ১৫ই আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমরা তার বিদ্রোহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

আরও দেখুনঃ

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিখ্যাত কবিতা

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোট কবিতা