বর্তমানে ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত সকল ধনী দেশগুলোর মধ্যে সুইজারল্যান্ড উপরে সারিতে রয়েছে। বৈধভাবে বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ সরকারি ও বেসরকারি ভাবে সুইজারল্যান্ডে প্রবেশ করছে। বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে প্রবেশের অধিকার পেতে লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হয়।
আগের তুলনায় সুইজারল্যান্ড যাওয়ার খরচ বর্তমানে কিছুটা বেশি। তবে খরচের কাছে হার মানছে না সুইজারল্যান্ড যেতে আগ্রহী মানুষের। প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ মানুষ সুইজারল্যান্ডে আসার জন্য বিভিন্ন ভিসা তৈরি করছে।
প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বহু দেশ থেকে অসংখ্য মানুষ উন্নত চিকিৎসা, উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসাসহ নানা কাজের উদ্দেশ্যে সুইজারল্যান্ড আসার পরিকল্পনা করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সুইজারল্যান্ডে যেতে হলে সুইজারল্যান্ডের ভিসা থাকতে হবে। সুইজারল্যান্ডের এ সকল ভিসা তৈরি করতে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়।
সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে
সৌন্দর্যের দিক থেকে পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর থেকে সুইজারল্যান্ড এগিয়ে রয়েছে। প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বহু দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সুইজারল্যান্ড আসে। বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হয়।
সুইজারল্যান্ড ইউরোপীয় একটি রাষ্ট্র। সুইজারল্যান্ড ইউরোপীয় রাষ্ট্র হওয়ায় মানুষের মধ্যে সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার আগ্রহ সবসময়ই বেশি দেখা যায়। বর্তমানে সুইজারল্যান্ড যেতে ভিসা তৈরি ও বিমান ভাড়া সহ আনুমানিক ৭ থেকে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। ভিসা ও বিমান উন্নত হলে খরচ আরো কিছুটা বাড়তে পারে।
বর্তমানে অনেক বিমান এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড এর উদ্দেশ্যে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। এই সকল বিমান এয়ারলাইন্স ও বিমানের ক্যাটাগরির উপর সুইজারল্যান্ড যাওয়ার খরচ কম বেশি হতে পারে। লো কোয়ালিটির বিমান দ্বারা সুইজারল্যান্ড যেতে আনুমানিক ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
সুইজারল্যান্ড ভিসার দাম কত
বর্তমানে সুইজারল্যান্ড যেতে যে পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয় তার বেশির ভাগ টাকা ভিসা তৈরিতে ব্যয় করতে হয়। সুইজারল্যান্ডে বৈধভাবে প্রবেশের জন্য ভিসা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। আপনি যে কাজে দক্ষ সেই কাজের ধরন অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আবেদন ফি পরিশোধ করার পর ভিসা প্রসেসিং কার্যক্রম শুরু হয়। তাই আবেদনের পরপরই ভিসা ফি প্রদান করা উচিত। বর্তমানে সুইজারল্যান্ড বিভিন্ন ধরনের ভিসা তৈরি করতে আনুমানিক সর্বনিম্ন ৩ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়।
সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ ২০২৪
বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের সকল ভিসার মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার চাহিদা সবথেকে বেশি। কেননা সুইজারল্যান্ডে বেশিরভাগ মানুষ অর্থ উপার্জন করার জন্য ভিসার আবেদন করে। আবেদনকৃত ভিসার মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে খরচ বেশি হয়।
বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে আনুমানিক সাড়ে ৪ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন এজেন্সি ও দালালের ধারা ভিসা তৈরি করলে ভিসা তৈরির খরচ কিছুটা বাড়তে পারে। বিভিন্ন এজেন্সি ও দালালের সাহায্যে ভিসা তৈরি করতে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
রেস্টুরেন্ট ভিসায় সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে
রেস্টুরেন্ট বলতে যে প্রতিষ্ঠানে সুস্বাদু দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন খাবার বিক্রয় করা হয় সেই প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়। সুইজারল্যান্ড উন্নত রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এ সকল রেস্টুরেন্টে কাজ করতে পরিশ্রম তুলনামূলক কম হয় এবং পরিশ্রমের তুলনায় পারিশ্রমিক বেশি দেওয়া হয়। বর্তমানে রেস্টুরেন্ট ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন ৪-৫ লাখ টাকা লাগে।
সুইজারল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি?
বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে অসংখ্য কাজের সুযোগ রয়েছে। প্রতিনিয়ত সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন কোম্পানিতে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। এই সকল কোম্পানিতে কাজ করলে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সহ অধিক টাকা আয় করা যায়।
এছাড়াও সুইজারল্যান্ডে মালিকাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও চাকরির সুযোগ রয়েছে। তবে সুইজারল্যান্ডে বেশকিছু কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ সকল কাজের মধ্যে মোস্ট উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কাজ হলঃ সুইজারল্যান্ড কোম্পানি ভিসা, ড্রাইভিং ভিসা, কন্সট্রাকশন লেভার ভিসা, শ্রমিক ভিসা ইত্যাদি।
সুইজারল্যান্ড যাওয়ার উপায় ২০২৪
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের অসংখ্য বাঙালি নাগরিক সুইজারল্যান্ডে অবস্থানরত আছে। নতুন করে অনেকেই সুইজারল্যান্ড যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসার আবেদন করছে। অনেক উপায়ে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সুইজারল্যান্ড পৌঁছানো যায়।
সুইজারল্যান্ড যাওয়ার এ সকল উপায় এর মধ্যে কেবলমাত্র বিভিন্ন ভিসার সাহায্যে বৈধভাবে সুইজারল্যান্ড যাওয়া যায়। তবে বর্তমানে ভিসার চাহিদা বেশি থাকায় ভিসা প্রসেসিং হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে। যার ফলে অনেকেই ধৈর্য হারা হয়ে অবৈধভাবে সুইজারল্যান্ড পৌঁছাতে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়।
শেষ কথা
বাংলাদেশে অসংখ্য এজেন্সি রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত সুইজারল্যান্ডের ভিসা তৈরি কার্যক্রম সম্পন্ন করে আসছে। তবে এই সকল এজেন্সির মধ্য থেকে সঠিক এবং বিশ্বাসযোগ্য এজেন্সিকে খুঁজে নিতে হবে। কেননা অনেকেই এ সকল এজেন্সি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।