লিথুনিয়া উত্তর ইউরোপের একটি সমৃদ্ধশীল রাষ্ট্র। লিথুনিয়া অত্যন্ত উন্নত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা একটি রাষ্ট্র। লিথুনিয়া অসংখ্য প্রাকৃতিক অরণ্য, নদী ও হ্রদে পরিপূর্ণ। লিথুনিয়া ইউরোপের তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্রের মধ্যে বৃহত্তম। লিথুনিয়া বাল্টিক সাগরের পূর্ব উপকূলে সুইডেনের বিপরীত তীরে অবস্থিত। লিথুনিয়া ১৯১৮ সালে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র থাকলেও ১৯৪০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন লিথুনিয়া নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়।
প্রতি বছরের শুরুতেই লিথুনিয়া সরকারি ভাবে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। কোন কাজে অভিজ্ঞ হলে লিথুনিয়ায় সেই কাজ করে অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। লিথুনিয়া উন্নত দেশ হওয়ায় বিভিন্ন কাজ করে মাসে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। বর্তমানে লিথুনিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি কার্যক্রম চালু থাকায় সহজেই লিথুনিয়া কাজ করার জন্য যাওয়া যাচ্ছে।
লিথুনিয়া বেতন কত
একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর সেই দেশের শ্রমিকের বেতন নির্ধারণ হয়। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশে অধিক টাকা বেতন পাওয়া যায়। লিথুনিয়ায় কাজের ধরন অনুযায়ী একজন শ্রমিকের মাসিক বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৬০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। ওভারটাইম করলে এই বেতন কম বেশি হতে পারে।
অপর দিকে লিথুনিয়ায় একজন শ্রমিকের থেকে একজন চাকরিজীবীর বেতন বেশি হয়ে থাকে। লিথুনিয়ায় সরকারি চাকরির বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকা এবং বেসরকারি চাকরির বেতন আনুমানিক সর্বনিম্ন প্রায় ৬৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৭৫ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বেতন
বর্তমানে লিথুনিয়া যে সকল ভিসা চালু রয়েছে তার মধ্যে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অন্যতম। বর্তমানে সব থেকে বেশি মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় লিথুনিয়া গিয়ে থাকে। কেননা কাজ করার উদ্দেশ্যে লিথুনিয়া যেতে হলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে। লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গিয়ে নানারকম কাজ করা যায়।
তাই লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বেতন নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ৪০ থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ওভারটাইম করার সুযোগ থাকে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ওভারটাইম করে প্রতি মাসে একজন শ্রমিক ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন ভিসায় লিথুনিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। এদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ কাজ করে অর্থ উপার্জন করার পরিকল্পনা নিয়ে লিথুনিয়া যায় ।এছাড়া এ দুনিয়ায় অসংখ্য কাজ ও সুযোগ সুবিধা রয়েছে। লিথুনিয়া যাওয়ার খরচ ভিসা ও বিমান সহ আনুষঙ্গিক কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
যে সকল ভিসায় লিথুনিয়া যাওয়ার চাহিদা কম সে সকল ভিসায় লিথুনিয়া যাওয়ার খরচও কম। বর্তমানে লিথুনিয়া যেতে আনুমানিক প্রায় ৬ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে যে সকল বিমানের যাত্রীসংখ্যা তুলনামূলক কম সেই সকল বিমান ব্যবহার করলে লিথুনিয়া যাওয়ার খরচ কিছুটা কমবে।
লিথুনিয়া কন্সট্রাকশন শ্রমিকের বেতন ২০২৪
বর্তমানে লিথুনিয়ার সবথেকে চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলোর মধ্যে কন্সট্রাকশন শ্রমিকের কাজ অন্যতম। অনেক বাংলাদেশী লিথুনিয়ায় কনস্ট্রাকশন সাইটে শ্রমিকের কাজ করে মাসে আনুমানিক প্রায় ৫০ হাজার টাকার আশেপাশে ইনকাম করে থাকে। তবে কনস্ট্রাকশন সাইটে কাজের ধরনের বেতন কমবেশি হতে পারে।
লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশ লিথুনিয়ায় অসংখ্য কাজের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সরকারিভাবে প্রতিবছর লিথুনিয়া বিভিন্ন ভিসায় শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে লিথুনিয়ায় কিছু চাহিদা সম্পন্ন কাজ রয়েছে। লিথুনিয়ায় চাহিদা সম্পন্ন এই কাজগুলো করলে অন্যান্য কাজের তুলনায় অধিক টাকা বেতন উত্তোলন করা যায়।
লিথুনিয়ার চাহিদা সম্পন্ন কাজ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল, ড্রাইভিং, সরকারি বেসরকারি চাকরি, বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি, কনস্ট্রাকশন শ্রমিক ইত্যাদি। এছাড়া লিথুনিয়ায় রেস্টুরেন্ট থাকায় রেস্টুরেন্ট ওয়েটারের বেশ চাহিদা রয়েছে। লিথুনিয়ায় দক্ষ যেকোন কাজের চাহিদা রয়েছে।
শেষ কথা
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভুক্ত ২৭ টি দেশেই বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এই ২৭ টি দেশের মধ্যে লিথুনিয়া একটি। লিথুনিয়ায় একজন শ্রমিক লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে। লিথুনিয়ায় একজন লেভারের বেতন আনুমানিক প্রায় ১২০ইউরো থেকে ২০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে।