মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা ২০২৪

মালয়েশিয়া ১৩ টি রাজ্য ও তিনটি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত সমৃদ্ধশীল রাষ্ট্র। মালয়েশিয়া দক্ষিণ এশিয়ার সব থেকে বড় এবং উন্নত দেশ গুলোর মধ্যে একটি। দেশটিতে অসংখ্য কোম্পানি বিদ্যমান। এ সকল কোম্পানিতে কাজ করলে একাধিক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। ফ্যাক্টরি ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে হলে সর্বপ্রথম ভিসা তৈরি করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি দুই ভাবেই মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা তৈরি করা যায়।

এছাড়াও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হলে সহজে ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। বর্তমানে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা চাহিদা তুলনামূলক বেশি। তবে গত ২ থেকে ৩ বছর আগেও এই চাহিদা তুলনামূলক কম ছিল ভিসা তৈরি করতে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। বর্তমানে মালয়েশিয়া তে অবস্থানরত সিন্ডিকেট তৈরি কারী বাংলাদেশি এজেন্সি গুলো বন্ধ করায় ভিসা তৈরীর খরচ ও কষ্ট উভয়ই কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা ২০২৪

বর্তমান সময়ের সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন ভিসা গুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা অন্যতম। চাহিদা বেশি হওয়ায় মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা ২০২৪ সালে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আপনি যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে কোন কাজে দক্ষ হয়ে ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে ভিসা পাওয়া আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।

এছাড়া মালেশিয়াতে আপনার কোন পরিচিত ব্যক্তি থাকলে তিনি সহজেই ফ্যাক্টরি ভিসা তৈরি করে দিতে পারবে। এক্ষেত্রে আপনার টাকা এবং কষ্ট উভয়ই কম হবে। মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরিতে কাজের বেতন পূর্বে তুলনামূলক কম ছিল। তবে বর্তমানে বেতন বৃদ্ধি পাওয়ায় সকলেই ফ্যাক্টরি ভিসার দিকে ঝুঁকছে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা দাম কত

বর্তমানে মালয়েশিয়াতে অসংখ্য মালিকাধীন কোম্পানির ফ্যাক্টরি রয়েছে। সারা বছরই এ সকল ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন পদ ফাঁকা থাকে। কোম্পানির মালিক বছরের বিভিন্ন সময় এই সকল ফাঁকা পদে কর্মী নিয়োগ করার জন্য বিভিন্ন চাকরির সার্কুলার প্রকাশ করে।

ভিসা তৈরি করা থাকলে এ সকল সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরিতে চাকরি করা যায়। সরকারি ভাবে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা ২০২৪ সালে তৈরি করতে আনুমানিক প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। অপরদিকে বেসরকারিভাবে ফ্যাক্টরি ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত?

বর্তমানে মালয়েশিয়ার অসংখ্য কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে। এসব কাজের ক্যাটাগরি অর্থাৎ পদ অনুযায়ী বেতন নির্ধারিত হয়ে থাকে। তবে মালয়েশিয়াতে বিভিন্ন ফ্যাক্টরির নিম্ন পদে চাকরি করলে সর্বনিম্ন প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়।

অপরদিকে উচ্চপদস্থ পদে চাকরি করলে প্রতি মাসে আনুমানিক প্রায় ৬০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। এছাড়া ফ্যাক্টরিতে ওভারটাইম করার সুযোগ রয়েছে। ওভারটাইম করে বেতনের থেকে বাড়তি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বেতন ন্যূনতম ৭০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদনের নিয়ম ২০২৪

বর্তমানে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য বিভিন্নভাবে আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়। তবে অনলাইনের মাধ্যমে সব থেকে সহজে একটি ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এছাড়াও আপনি চাইলে আমি প্রবাসী অ্যাপস এর মাধ্যমে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

  • এক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে Ami Probashi অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে। অতঃপর বি এম ই টি (BMET) রেজিস্ট্রেশন করতে আপনার পাসপোর্ট স্ক্যান করে অন্যান্য সকল তথ্য প্রদান করতে হবে।
  • পরবর্তী ধাপে আপনার দেওয়া সকল তথ্য যাচাইয়ের জন্য ৭২ ঘন্টা সময় অপেক্ষা করতে হবে। আপনার সকল তথ্য সঠিক থাকলে দ্রুতই ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে। অতঃপর বিকাশের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৩০০ টাকা পরিশোধ করে আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

সরকারি ভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার উপায়

বর্তমানে অল্প খরচে সরকারি ভাবে মালয়েশিয়া যাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে বিভিন্ন জেলায় সর্বমোট ৪২ টি বিএমইটি কার্যালয় রয়েছে। এই সকল BMET কার্যালয়ে আবেদন করার মাধ্যমে সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশে মোট 11 টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।

প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের কাজের সার্কুলার প্রকাশ করছে। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কোন কাজে দক্ষ হলে সেই দক্ষ কাজ অনুযায়ী আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে চাকরি খুজে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। অতঃপর চাকরি পেয়ে গেলে সরকারিভাবে মালয়েশিয়া গিয়ে আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরিতে জয়েন করতে পারবেন।

শেষ কথা

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা ২০২৪ সালে পাওয়া পূর্বের থেকে তুলনামূলক কঠিন হয়ে গেছে। কেননা মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি চাকরি ভিসার চাহিদা অনেক বেশি। চাহিদা বেশি হওয়ায় ফ্যাক্টরি ভিসা তৈরি করতে দুর্নীতি ও বেশি হয়। তাই মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরির ভিসা তৈরি করার পূর্বে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।