শবে মেরাজ কি সরকারি ছুটি ২০২৪

শবে মেরাজ মুসলিম জাতির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। কেননা এই দিন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মান কতটুকু তা সমগ্র মুসলিম জাতির সামনে তুলে ধরে। প্রতিবছরই বাংলাদেশে শবে মেরাজ পালন করা হয়।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলিম আর মুসলিমদের দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি প্রদান করা হয়। তাই অনেকেই শবে মেরাজ কি সরকারি ছুটি এই সম্পর্কে জানতে চায়। নিচে শবে মেরাজের ছুটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

শবে মেরাজ কি সরকারি ছুটি

বাংলাদেশের ৯৫% মানুষ মুসলিম হওয়ায় বাংলাদেশ মুসলিম দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। ৯৫ ভাগ মানুষ মুসলিম হওয়ায় ইসলাম ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। সেই হিসাবে শবে মেরাজ উপলক্ষে সরকারি ছুটি আছে কিনা তা অনেকেই জানতে চায়।

মুসলিম দিবস হিসেবে শবে বরাত, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে সাধারণ সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। বাংলাদেশের শবে মেরাজ মুসলিমদের দিবস হিসাবে পরিলক্ষিত হয়। যার কারণে শবে মেরাজ উপলক্ষে একদিনের সাধারণ সরকারি ছুটি দেওয়া হয়।

শবে মেরাজ ২০২৪ এর ছুটি কবে

মহা সত্য একটি ঘটনা এই শবে মেরাজ যা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। কিন্তু মেরাজ কত তারিখে সংঘটিত হয়েছিল তা হাদিসে উল্লেখিত না থাকায় মেরাজ নিয়ে ইতিহাসবিদদের একাধিক মতামত রয়েছে। যেমন ইমাম নববী (রহঃ) প্রমুখ যোহর থেকে বর্ণনা করেছেন, হিজরতের ৫ বছর আগে মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল।

তবে অনেক ইতিহাসবিদের মতে হিজরতের দু’বছর আগে ইংরেজি ৬২০ খ্রিস্টাব্দের ৮ই মার্চ শবে মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল। সেই হিসেবে অনুযায়ী আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত হলো শবে মেরাজের রাত। যেহেতু ৮ই 8 ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত শবে মেরাজ পালিত হবে সেহেতু ৯ই ফেব্রুয়ারি সাধারণ সরকারি ছুটি থাকবে।

শবে মেরাজ ছুটি

অনেকেই শবে মেরাজকে আল্লাহর নেয়ামত মনে করে থাকেন। আর আল্লাহর এই নেয়ামতকে উদযাপন করার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করেন। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে আল্লাহর ইবাদত করার ফলে পরেরদিন কর্ম ক্ষেত্রে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।

যার কারণে বাংলাদেশ সরকার শবে মেরাজ উপলক্ষে একদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করে থাকে। এই সরকারি ছুটি শবে মেরাজের পরবর্তী দিন কার্যকর হয়। তবে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পূর্বের ন্যায় তাদের কার্যকলাপ চালু রাখে। এছাড়াও অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান মেরাজ উপলক্ষে ছুটি প্রদান করা থেকে বিরত থাকে।

শেষ কথা

যদিও আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেরাজ উপলক্ষে কোন দিবস উদযাপন করেননি। কিন্তু অনেকেই আল্লাহকে খুশি করতে এই দিন গভীর রাত পর্যন্ত ইবাদত বন্দেগি করে থাকেন। যার কারণে তারা অনেকেই শবে মেরাজ কি সরকারি ছুটি এই প্রশ্নটি করে থাকে। আজকের পোস্টে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ।

Scroll to Top