ওমান টু বাংলাদেশ টিকেটের দাম কত ২০২৪

ওমান আরব উপদ্বীপে অবস্থিত একটি মরুভূমির দেশ। ওমান মরুভূমির দেশ হলেও বাংলাদেশের শ্রম বাজার ওমানের সাথে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশ কে অর্থনৈতিক ভাবে সচল রাখতে হলে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন যার একটা বড় অংশ ওমান থেকে আসে। ওমান দেশের অভ্যন্তরের বেশিরভাগ অংশই আরব উপদ্বীপের বালুকাময় ও বৃক্ষবিহীন অংশে অবস্থিত এছাড়াও ওমানের বেশিরভাগ অংশ জল বিহীন অঞ্চলের মধ্যে পড়ে।

ওমানের এই জল বিহীন অঞ্চল রুব আল খালি নামে সকলের নিকট পরিচিত। ওমানের উত্তর উপকূল সমুদ্র পৃষ্ঠ দ্বারা এবং অভ্যন্তরীণ অংশ পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত। এ সকল সমুদ্র ও পর্বতমালা ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক ওমানে উপস্থিত হয়।

এছাড়া বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কাজ করার উদ্দেশ্যে ওমান প্রবাসী হয়। ওমান ও বাংলাদেশের দূরত্ব আনুমানিক প্রায় ৩,৫২৮ বর্গ কিলোমিটার। যার কারণে ওমান থেকে বাংলাদেশে আসতে অথবা বাংলাদেশ থেকে ওমানে যাতায়াত করতে বিমান ব্যবহার করতে হয়। বিমানের ক্যাটাগরি ও সিটের ধরন অনুযায়ী টিকেটের মূল্য নির্ধারিত হয়ে থাকে।

ওমান টু বাংলাদেশ টিকেটের দাম কত

বর্তমানে অনেক বাংলাদেশী জীবিকার তাগিদে ওমানে বসবাসরত আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ছুটি কাটাতে অথবা ইমারজেন্সি প্রয়োজন মেটানোর জন্য ওমান থেকে পুনরায় বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বিমানের সাহায্যে ইমার্জেন্সি সময় অল্প টাকা খরচ করে টিকেট ক্রয় করলে কম সময়ের মধ্যে ওমান থেকে বাংলাদেশে পৌঁছানো যায়।

বর্তমানে ওমান টু বাংলাদেশ রুটে বিমানের টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য নুন্যতম প্রায় ১৫,৯৭১ টাকা থেকে শুরু হয় এবং টিকেটের সর্বোচ্চ মূল্য প্রায় ৩ লাখ ৬৭,৩৭৬ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে অনেক বিমান এয়ারলাইন তাদের টিকেটের মূল্য মাঝা মাঝি ধরনের অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে রেখেছে।

ওমান টু ঢাকা টিকেটের দাম কত

নির্ধারিত দিনের থেকে ন্যূনতম ২০ দিন অথবা ২৫ দিন আগে টিকেট বুকিং করলে তুলনামূলক টিকেটের মূল্য কম পাওয়া যায়। তবে ইমারজেন্সি ভাবে টিকেট বুকিং করতে গেলে টিকেট বিক্রেতা টিকেটের মূল্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে বলতে পারে। তবে অনলাইন থেকে টিকেট ক্রয় করলে ইমারজেন্সি সময় দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

অধিকাংশ বিমান এয়ারলাইন্স ওমান থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করে। ওমান টু ঢাকা রুটে সব থেকে বেশি যাত্রী চলাচল করায় টিকেটের মূল্য বেশি থাকে। বর্তমানে ওমান থেকে ঢাকা পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে টিকিট বুকিং করতে আনুমানিক প্রায় ২০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে বিমানের ধরন অনুযায়ী টিকেটের মূল্য কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

Air Arabia ওমান টু বাংলাদেশ টিকেটের দাম কত

বর্তমান সময়ে আরবীয় বিমান এয়ারলাইন্স গুলোর মধ্যে Air Arabia বিমান এয়ারলইন্স সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বর্তমানে Air Arabia ওমান থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে প্রতি দিন ১ টি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। Air Arabia বিমান এয়ারলইন্স এর ফ্লাইটটি বিকেল ৩ টায় পরিচালিত হয়ে থাকে।

বর্তমানে Air Arabia বিমান এয়ারলইন্স এর এই ফ্লাইট ব্যবহার করে ওমান থেকে বাংলাদেশে পৌছাতে প্রায় ১৮ ঘন্টা র্পযন্ত সময় লাগে। ফ্লাইটটি তে ভ্রমন করতে হলে ২২,৩৯৪ টাকা খরচ করে ইকনোমি ক্লাসের একটি টিকট ক্রয় করতে হবে। ফ্লাইটটি ওমান থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর শারজাহ বিমান বন্দরে একটি বিরতি নিয়ে থাকে।

সালাম এয়ারলাইন্স ওমান টু বাংলাদেশ টিকেটের দাম কত

সালাম এয়ারলাইন্স এই প্রথম ওমান টু বাংলাদেশ রুটে তাদের ফাইট পরিচালনা কার্যক্রম শুরু করেছে। বর্তমানে সালাম এয়ারলাইন্স এর বিমান ব্যবহার করে বাংলাদেশে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে বিমানের টিকেট ক্রয় করতে সর্বনিম্ন প্রায় ১৮,৯৪৩ টাকা খরচ হয়। অপর দিকে ওমান টু বাংলাদেশ রুটে সালাম এয়ারলাইন্স এর ইকনোমি ক্লাসের একটি টিকটের সর্বচ্চো মূল্য নূন্যতম ১৯,৬০৬ টাকা র্পযন্ত হয়ে থাকে।

ওমান থেকে বাংলাদেশে কোন কোন এয়ারলাইন্সের বিমান চলাচল করে?

ওমান একটি স্বাধীন এবং বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ ওমান থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ফ্লাইট পরিচালনা করে। এ সকল আন্তর্জাতিক বিমান এয়ারলাইন্স সমূহ নির্ধারিত মূল্যের টিকেটে বিক্রির মাধ্যমে যাত্রী সরবরাহ কার্যক্রম সম্পন্ন করে।

  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ওমান এয়ারলাইন্স।
  • ইন্ডিয়া গো এয়ারলাইন্স এবং এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারলাইন্স।
  • Air Arabia বিমান এয়ারলইন্স ও কাতার এয়ারলাইন্স।।
  • ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স এবং ইতিহাদ এয়ারলাইন্স।
  • মালয়েশিয়ান বিমান এয়ারলাইন্স ও কুয়েত বিমান এয়ারলাইন্স। ইত্যাদি।

শেষ কথা

বাংলাদেশের সাথে ওমানের সম্পর্ক বন্ধুত্ব পূর্ণ হওয়ায় প্রতি বছর অসংখ্য বাংলাদেশী ওমান গিয়ে কাজ করার সুযোগ পায়। ওমান থেকে বাংলাদেশের দুরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় কোন বিমান এয়ারলাইন্স সরাসরি ওমান থেকে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করে না। তাই কোন বিমান বন্দরে বিরতি নেওয়ার জন্য ল্যান্ড করলে সতর্কতার সাথে বিমান থেকে নামতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট বিমানে ফেরত আসতে হবে।