ইন্দোনেশিয়া এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের মাঝখানে অবস্থিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবথেকে উন্নত শীল দেশ। এছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়া প্রায় তিন শতাধিক ভাষায় সমৃদ্ধ একটি দেশ। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া দেশটি জাতিগত ভাবেও বেশ সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্রময়। ইন্দোনেশিয়ায় গ্রামীণ শিকারি সম্প্রদায় থেকে অভিজাত শহর পর্যন্ত প্রায় সব ধরনের মানুষ বসবাস করে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ ইন্দোনেশিয়া যায়।
প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ টু ইন্দোনেশিয়া বিমান ভাড়া পরিবর্তিত হয়ে থাকে। যার ফলে বাংলাদেশের অনেক অসাধু দালাল বা এজেন্সি টিকেট ক্রয় করে দেওয়ার নামে বিমান ভাড়ার থেকে অধিক টাকা আদায় করে নেয়। এই সকল অসাধু দালাল ও এজেন্সির ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে বিমান এয়ারলাইন্সের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আপডেট বিমান ভাড়া জেনে নিতে হবে। এছাড়া বিমান এয়ারলাইন্সের অনুমোদিত অফিস থেকে আপডেট মূল্য টিকেট ক্রয় করা যায়।
বাংলাদেশ টু ইন্দোনেশিয়া বিমান ভাড়া কত
বর্তমানে প্রায় ৫,০০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত দেশটি ১৯০০ সাল থেকে ইন্দোনেশিয়া নামে পরিচিতি পায়। ইন্দ্রোনেশিয়া দক্ষিণ এশিয়ার সব থেকে উন্নত শীল দেশ হওয়ায় এখানে সব ধরনের কাজে সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে বাংলাদেশের সকল মানুষের মধ্যে ইন্দ্রোনেশিয়া যাওয়ার চাহিদা তুলনামূলক বেশি।
বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার আনুষাঙ্গিক খরচের পাশাপাশি বিমান ভাড়া কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া বিমান ভাড়া আনুমানিক সর্বনিম্ন প্রায় ৩৬ হাজার ৭৭৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৯০৫ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে এই ভাড়া বিমান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় পরিবর্তন করতে পারে।
বাংলাদেশ টু ইন্দোনেশিয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমান ভাড়া
ইন্দোনেশিয়া ডাচ উপনিবেশ দের আগমনে ১৯৪৯ সালে আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন হয়। তবে ইন্দোনেশিয়ায় ডাচ উপনিবেশ দের আগমণের আগে বেশ কয়েকটি অভিজাত রাজ্যে বিভক্ত ছিল। বর্তমানে স্বাধীন এই রাষ্ট্রে যাওয়ার আগ্রহ অনেকেরই রয়েছে।
বাংলাদেশ টু ইন্দোনেশিয়ার রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিয়মিত তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর অধিকাংশ ফ্লাইট সকাল ৯ টা থেকে সকাল ১১ টার মধ্যে পরিচালিত হয়। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান ভাড়া আনুমানিক সর্বনিম্ন প্রায় ৫৪,৬১২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১ লাখ ৮৫,৪৮০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ঢাকা টু ইন্দোনেশিয়া ফ্লাইট সমূহ ২০২৪
ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমণ করার জন্য অনেক জায়গা রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ কাজের পাশাপাশি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়া গিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা ঢাকা থেকে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রী সরবরাহ করে থাকে। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে বাংলাদেশ টু ইন্দোনেশিয়া কোন কোন এয়ারলাইন্স যাতায়াত করে তা তুলে ধরা হলো।
- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও থাই এয়ারওয়েজ।
- সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এবং কাতার এয়ারওয়েজ।
- আমিরাত এয়ারলাইন্স ও মালিন্দো এয়ারওয়েজ।
- মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স এবং এয়ার এশিয়া এয়ারওয়েজ।
- ইন্ডিয়া গো এয়ারলাইন্স ও মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স।
- সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এবং শ্রীলংকা বিমান এয়ারলাইন্স। ইত্যাদি।
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশ থেকে স্থল পথে ইন্দোনেশিয়া যেতে আনুমানিক ১৫০ ঘন্টা সময় লাগে। অর্থাৎ স্থলপথে ইন্দোনেশিয়া পৌঁছাতে সময় লাগে আনুমানিক প্রায় ৬ দিন ৬ ঘন্টা। তবে বিমানের সাহায্যে অল্প সময়ে অর্থাৎ এক দিনের ভিতর ইন্দোনেশিয়া পৌঁছানো যায়।
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার দূরত্ব বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কোন বিমান ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছায় না। প্রতিটি ফ্লাইট চলাচলের মাঝ খানে একটি অথবা দুইটি বিরতি দিয়ে থাকে। অধিকাংশ সময় বাংলাদেশ টু ইন্দোনেশিয়ান রুটে চলাচলকারী বিমান কুয়ালালামপুরে একটি বিরতি নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া পৌঁছাতে সর্বনিম্ন সময় লাগে ৭ ঘন্টা ৩০ মিনিট এবং সর্বোচ্চ ১৬ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট সময় লাগে।
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া কত কিলোমিটার
ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সব থেকে বৃহত্তম রাষ্ট্র গুলোর মধ্যে একটি। ইন্দোনেশিয়ার মোট আয়তন ১৯ লাখ ৪ হাজার ৫৬৯ বর্গ কিলোমিটার এবং দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২৭ কোটি ৫৭ লাখ। বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া আনুমানিক প্রায় ৭,০১৪.৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
শেষ কথা
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইন্দোনেশিয়ায় মুসলিমদের আগমন ঘটে এবং ষোড়শ শতাব্দীতে দেশটির প্রধান ধর্ম হয়ে যায় ইসলাম। বর্তমানে বিভিন্ন ভিসায় ইন্দোনেশিয়া যাওয়া যায়। তবে ইন্দ্রোনেশিয়ান ভিসা তৈরি ও যাওয়ার জন্য বিমানের টিকেট ক্রয় করার ক্ষেত্রে দালাল বা এজেন্সি থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ধন্যবাদ।