বাংলাদেশের যাতায়াতের জগতে রেলপথের ভূমিকা অপরিসীম, এবং তার মধ্যে খুলনা-বেনাপোল লাইনটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এই পথটি শুধু দেশীয় যাত্রীদের জন্যই নয়, বরং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসায়িক আদান-প্রদান এবং সীমান্তবর্তী যোগাযোগের ক্ষেত্রেও অপরিহার্য। আজকের আলোচনায় আমরা ২০২৫ সালের এই রুটের ট্রেনের সময়কাল, ভাড়ার হার এবং থামার স্থানগুলো নিয়ে বিস্তারিত জানবো।
খুলনা-বেনাপোল লাইনের রেল যোগাযোগ
এখন এই লাইনে যাত্রীদের জন্য চালু রয়েছে কমিউটার বেতনা এক্সপ্রেস-২ (৯৪) এবং কমিউটার বেতনা এক্সপ্রেস-৪ (৫৪) নামক দুটি ট্রেন। এগুলো আন্তঃনগরীয় পরিষেবা হিসেবে পরিচালিত হয়। যা যাত্রীদের জন্য উন্নত স্তরের আরাম এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
বেনাপোল টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
এই রুটের জন্য নির্ধারিত সময়কাল নিচে তুলে ধরা হলো:
| ট্রেনের নাম | ছাড়ার সময় | গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় |
|---|---|---|
| কমিউটার বেতনা এক্সপ্রেস-২ (৯৪) | সকাল ৯:২৫ মিনিট | সকাল ১১:৪৫ মিনিট |
| কমিউটার বেতনা এক্সপ্রেস-৪ (৫৪) | বিকেল ৫:০০ ঘণ্টা | সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট |
ট্রেনের ভাড়ার ছাঁচ (২০২৫)
রেলপথের ভাড়ার হারগুলো এবার এমন:
| শ্রেণী | নির্ধারিত ভাড়া (টাকা) |
|---|---|
| শোভন | ৪৫ |
(অন্যান্য শ্রেণীর জন্য বিশেষ করে কমিউটার ট্রেনে সীমিত সুবিধা, তাই মূলত শোভন ক্লাসই প্রযোজ্য।)
থামার স্থান এবং স্টেশনসমূহ
বেনাপোল থেকে খুলনা যাত্রায় ট্রেনটি নিচের স্টেশনগুলোতে অবস্থান করে:
- বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন
- নাভারন রেলওয়ে স্টেশন
- ঝিকরগাছা রেলওয়ে স্টেশন
- যশোর জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- সিঙ্গিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- চেঙ্গুটিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন
- বেজেরডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন
- ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন
- দৌলতপুর রেলওয়ে স্টেশন
- দৌলতপুর কলেজ রেলওয়ে স্টেশন
- খুলনা জংশন রেলওয়ে স্টেশন।
রেল যাত্রার তুলনায় সুবিধাগুলো
রেলপথের যাত্রা অনেক ক্ষেত্রে অন্যান্য মাধ্যমের চেয়ে উন্নত: এতে পর্যাপ্ত জায়গা এবং শান্ত পরিবেশ পাওয়া যায়। সঠিক সময়মতো চলাচল করে এটি যাত্রীদের মনে নিরাপদ অনুভূতি জাগায় ও সড়কপথের তুলনায় খরচও অনেক কম।
ট্রেন ভ্রমণের আগের প্রস্তুতি
যাত্রার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত। ছুটির সময় আগে থেকে সিট বুক করে নিন, যাতে অসুবিধা না হয়। সঙ্গে আইডি কার্ড রাখুন।যা যাচাইয়ের কাজে লাগবে। এছাড়া, ব্যাগ-প্যান্টের মতো জিনিসপত্র নিজের দায়িত্বে দেখাশোনা করুন।
অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের ধাপগুলো
টিকিট কেনার সহজ পথ:
- ১. eticket.railway.gov.bd সাইটে লগইন করুন।
- ২. নিবন্ধন করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন বা সাইন ইন হোন।
- ৩. রুট এবং তারিখ সিলেক্ট করুন।
- ৪. পছন্দের ট্রেন এবং সিট বেছে নিন।
- ৫. বিকাশ, নগদ বা রকেট দিয়ে পেমেন্ট সারুন।
- ৬. টিকিট ডাউনলোড করে প্রিন্ট নিয়ে রাখুন।
শেষ কথা
খুলনা-বেনাপোলের এই রেলপথটি দেশের পরিবহন ব্যবস্থার একটি মূল স্তম্ভ। এখানে বেনাপোল টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া এবং অন্যান্য তথ্য সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে। অনলাইন বুকিংয়ের সুবিধা নিয়ে যাত্রা আরও সহজ হয়েছে। সবশেষে বলব, নিরাপদ এবং সময়োপযোগী ভ্রমণের জন্য সামান্য পরিকল্পনাই যথেষ্ট।


