নোয়াখালীর শান্ত উপকূলীয় বাতাস থেকে ঢাকার গতিশীল জীবনধারায় যাত্রা করার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে নোয়াখালী টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী, টিকিট বুকিং এবং ভাড়ার বিস্তারিত তালিকা জানা খুবই জরুরি। এই রুটটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় রেলপথ, যা প্রতিদিন হাজারো যাত্রীকে সুবিধাজনকভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। আমাদের এই গাইডে আমরা নোয়াখালী স্টেশন থেকে ঢাকা বাংলাবাজার বা কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত চলমান ট্রেনের সময়সূচী, উপলব্ধ আসনের ধরন এবং সাম্প্রতিক ভাড়ার হার নিয়ে আলোচনা করবো। এছাড়া, যাত্রার সময় নিরাপত্তা এবং আরামের জন্য কিছু বাস্তবসম্মত টিপসও শেয়ার করবো, যাতে আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা মনে রাখার মতো হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সাম্প্রতিক আপডেট অনুসারে এই তথ্যগুলো প্রস্তুত, তাই যাত্রার আগে অফিসিয়াল সোর্স যাচাই করে নিন।
আরও জানতে পারেনঃ ভৈরব থেকে নোয়াখালী ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্য
নোয়াখালী থেকে ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেনের বিস্তারিত সময়সূচী
যদি আপনি দিনের আলোয় যাত্রা পছন্দ করেন এবং সময় বাঁচাতে চান, তাহলে উপকূল এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭১১) আন্তঃনগর ট্রেনটি সেরা পছন্দ। এই ট্রেনটি নোয়াখালীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্য দিয়ে পার হয়ে ঢাকায় দ্রুত পৌঁছে। এটি সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিনে চলে, যা যাত্রীদের পরিকল্পনা করতে সাহায্য করে। নিচের টেবিলে সময়সূচী স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হলো:
| ট্রেনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ার সময় (নোয়াখালী থেকে) | পৌঁছানোর সময় (ঢাকায়) | যাত্রার সময়কাল |
|---|---|---|---|---|
| উপকূল এক্সপ্রেস (৭১১) | বুধবার | ০৬:০০ | ১১:৫০ | ৫ ঘণ্টা ৫০ মিনিট |
এই ট্রেনে যাত্রা করলে আপনি মেঘনা নদীর সেতু পার হয়ে যাবেন, যা যাত্রাকে আরও মনোরম করে তোলে। বুধবার ছাড়া অন্য দিনে এই সেবা না থাকায় আগাম বুকিং করুন।
নোয়াখালী থেকে ঢাকা মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
রাতের যাত্রার জন্য যারা অভ্যস্ত, তাদের জন্য ঢাকা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ১১) মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনটি আদর্শ। এটি প্রতিদিন চলে, তাই নমনীয়তা বেশি। রাতের ঘুম এবং সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর সুবিধা এর বিশেষত্ব। নিচের টেবিলে বিস্তারিত সময় দেওয়া হলো:
| ট্রেনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ার সময় (নোয়াখালী থেকে) | পৌঁছানোর সময় (ঢাকায়) | যাত্রার সময়কাল |
|---|---|---|---|---|
| ঢাকা এক্সপ্রেস (১১) | নেই | ২০:৪০ | ০৬:৪০ (পরের দিন) | ১০ ঘণ্টা |
নোয়াখালী টু ঢাকা ট্রেনের ভাড়া এবং টিকিট বুকিং তালিকা
টিকিটের মূল্য আসনের মান অনুসারে পরিবর্তিত হয়, যা বাংলাদেশ রেলওয়ের সাম্প্রতিক হার অনুসারে নির্ধারিত। নিচে উপলব্ধ শ্রেণীর ভাড়া তালিকা দেওয়া হলো (ভ্যাটসহ, টাকায়):
| আসন বিভাগ | টিকিটের মূল্য (টাকা) | বর্ণনা |
|---|---|---|
| শোভন চেয়ার | ৩১৫ | সাধারণ আসন, দিনের যাত্রার জন্য উপযুক্ত |
| স্নিগ্ধা | ৫৯৮ | এয়ার-কন্ডিশনড, আরামদায়ক এবং পরিবহন সুবিধা |
টিকিট অনলাইনে railway.gov.bd বা Shohoz অ্যাপ থেকে সহজেই বুক করা যায়। অগ্রিম বুকিংয়ে ছাড় পাওয়া যায়, এবং ই-টিকিট প্রিন্ট করে নিন।
যাত্রার নিরাপত্তা এবং টিপস
নিরাপদ ভ্রমণের জন্য স্টেশনে ৩০-৪৫ মিনিট আগে পৌঁছান, ব্যাগ চেক করুন এবং শিশুদের তত্ত্বাবধান করুন। ট্রেনে প্যান্ট্রি থেকে খাবার নিন বা নিজের সাথে নিন। আবহাওয়া খারাপ হলে সময়সূচী চেক করুন। ঢাকায় পৌঁছে রিকশা বা অটো ব্যবহার করুন। এই সতর্কতাগুলো আপনার যাত্রাকে নিরাপদ রাখবে।


