মিজাপুর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী

আপনি যদি মিজাপুর থেকে ঢাকা যাত্রার পরিকল্পনা করছেন, তাহলে “মিজাপুর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী” জানা অত্যন্ত জরুরি। এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব এই জনপ্রিয় রুটের সকল ট্রেনের সময়সূচি, ছাড়ার এবং পৌঁছানোর সময়, সাপ্তাহিক ছুটির দিনসমূহ। এছাড়া বিভিন্ন আসন ক্যাটাগরির ভাড়া তালিকা, টিকেট বুকিং প্রক্রিয়া, যাত্রার সুবিধা এবং কিছু প্রয়োজনীয় টিপস নিয়ে আলোচনা করব।

মিজাপুর থেকে ঢাকা: রুটের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

মিজাপুর, টাঙ্গাইল জেলার একটি উন্নয়নশীল এলাকা, ঢাকা থেকে মাত্র ৭১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই রুটে রেলপথটি সমতল এবং দ্রুতগতির, যা যাত্রীদের জন্য আদর্শ। প্রতিদিন এখান থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য তিনটি ট্রেন চলে – দুটি লোকাল এবং একটি আন্তঃনগর। লোকাল ট্রেনগুলো সস্তা এবং ঘন ঘন চলে, যেখানে আন্তঃনগর ট্রেন আরামদায়ক সুবিধা প্রদান করে। “মিজাপুর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী” অনুসারে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ট্রেন পাওয়া যায়, যা অফিস-গমনকারী, ছাত্র বা পরিবারের জন্য উপযোগী। এই রুটে যাত্রা করে আপনি যানজটমুক্ত পথে মাত্র ২-৩ ঘণ্টায় রাজধানীতে পৌঁছে যাবেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে এই রুটে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করে, যাতে ট্রেনগুলো ঠিক সময়ে চলে।

আরও জানতে পারেনঃ নোয়াখালী টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী

মিজাপুর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী- সকল ট্রেনের বিস্তারিত তালিকা

“মিজাপুর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী” জানলে আপনার যাত্রা অনেক সহজ হয়ে যায়। ২০২৫ সালের জন্য এই রুটে চলমান ট্রেনগুলোর সময়সূচি নিম্নরূপ। এই তথ্য বাংলাদেশ রেলওয়ের সাম্প্রতিক আপডেট অনুসারে প্রস্তুত করা হয়েছে। লক্ষ্য করুন, সময়সূচি আবহাওয়া বা রক্ষণাবেক্ষণের কারণে পরিবর্তন হতে পারে। তাই যাত্রার আগে অফিসিয়াল অ্যাপ বা হেল্পলাইন চেক করুন।

ট্রেনের নামধরনমিজাপুর থেকে ছাড়ার সময়ঢাকায় (কমলাপুর) পৌঁছানোর সময়ছুটির দিনবিরতির সময়
টাঙ্গাইল কমিউটার (১০৩৪)লোকালসকাল ৭:৩৩সকাল ১০:০০নেই৬ মিনিট
৯৯ লোকাললোকালসকাল ৯:১৬সকাল ১১:৩০ (আনুমানিক)নেই (প্রতিদিন)৬ মিনিট
সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস (৭৫৪)আন্তঃনগরসকাল ১১:৪৪দুপুর ১:৩০রবিবার৮ মিনিট

টাঙ্গাইল কমিউটারটি সকালের অফিস-গমনকারীদের জন্য আদর্শ, যা মাত্র ২.৫ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছে। ৯৯ লোকাল প্রতিদিন চলে, যা ছাত্র বা বাজেট-সচেতন যাত্রীদের পছন্দ। সিল্ক সিটি এক্সপ্রেসটি আরামদায়ক এতে এসি এবং স্নিগ্ধা কোচ রয়েছে, কিন্তু রবিবার ছুটি থাকে। এই ট্রেনগুলোতে মোট ৫-১০টি মধ্যবর্তী স্টেশনে থামে, যেমনঃ সাভার বা জয়দেবপুর। যদি আপনার যাত্রা দ্রুত হওয়া দরকার, তাহলে সিল্ক সিটি বেছে নিন।

আরও জানতে পারেনঃ ভৈরব থেকে নোয়াখালী ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্য

মিজাপুর টু ঢাকা ট্রেনের ভাড়া তালিকা: সকল ক্যাটাগরি

“মিজাপুর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী” জানার পর ভাড়া জানা জরুরি। এই রুটের ভাড়া সাশ্রয়ী, যাতে ১৫% ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত। লোকাল ট্রেনে শুধুমাত্র শোভন চেয়ার, কিন্তু আন্তঃনগরে আরও অপশন আছে। নিচের তালিকা ২০২৫-এর মূল্য অনুসারে:

আসন ক্যাটাগরিলোকাল ট্রেন (টাকা)আন্তঃনগর ট্রেন (টাকা)
শোভন চেয়ার৮৫৮৫
শোভন৫৫
স্নিগ্ধা১৬১
এসি১৯৬

লোকাল ট্রেনের ভাড়া সবচেয়ে কম, যা দৈনন্দিন যাত্রীদের জন্য উপযোগী। সিল্ক সিটি এক্সপ্রেসে এসি কোচে যাত্রা করে আপনি ঠান্ডা বাতাস এবং আরাম পাবেন, বিশেষ করে গরমকালে। ভাড়া মির্জাপুর স্টেশনে হাতে লেখা টিকিটে পাওয়া যায় কিন্তু আন্তঃনগরের জন্য অনলাইন বুকিং সম্ভব।

টিকেট বুকিং এবং যাত্রার টিপস

টিকেট বুকিং এখন খুব সহজ। লোকাল ট্রেনের জন্য স্টেশনে গিয়ে কাউন্টার থেকে টিকিট কিনুন, যেখানে কোনো অগ্রিম বুকিং নেই। আন্তঃনগর ট্রেনের জন্য eticket.railway.gov.bd বা Shohoz অ্যাপ ব্যবহার করুন – এতে ৩০ দিন আগে থেকে বুক করা যায়। ভিড় এড়াতে সকালের ট্রেন বেছে নিন। যাত্রার সময় সঙ্গে আইডি কার্ড, পানি এবং হালকা খাবার নিন। ট্রেনে ক্যান্টিন রয়েছে, কিন্তু ভিড় হলে অসুবিধা হতে পারে।

আরও জানতে পারেনঃ সুরমা মেল ট্রেনের সময়সূচী, টিকেট ও ভাড়ার তালিকা

নিরাপত্তার জন্য মাস্ক পরুন এবং শিশুদের তত্ত্বাবধান করুন। এই রুটে রেলপথের পাশে সবুজ মাঠ এবং নদীর দৃশ্য উপভোগ করুন, যা যাত্রাকে আনন্দময় করে। যদি গ্রুপে যান, তাহলে একসাথে সিট বুক করুন। বাংলাদেশ রেলওয়ে অ্যাপ ডাউনলোড করে রিয়েল-টাইম আপডেট পান।

“মিজাপুর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী” অনুসরণ করে আপনি সময় বাঁচিয়ে আরামে যাত্রা করতে পারবেন। এই রুটে ট্রেন ভ্রমণ রাস্তার যানজট এড়ানোর সেরা উপায়, বিশেষ করে বর্ষাকালে। যদি আপনার যাত্রা জরুরি হয়, তাহলে সকালের লোকাল ট্রেন নিন। এছাড়া রেলওয়ের হেল্পলাইন ১৬২২-এ কল করে সরাসরি তথ্য নিন।

আরও জানতে পারেনঃ কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের সময়সূচী ও টিকিট মূল্য ২০২৫

শেষ কথা

আশা করি, এই আর্টিকেলে “মিজাপুর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী”, ভাড়া এবং টিপস নিয়ে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। এখন চিন্তামুক্ত হয়ে মিজাপুর থেকে ঢাকায় ট্রেনে যান ও সময়ের সাথে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করুন। যদি আরও তথ্য চান, কমেন্ট করুন বা রেলওয়ের সাইট ভিজিট করুন।

Scroll to Top