বাংলাদেশের পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন না হওয়ায় গ্রীষ্মকালে প্রচুর বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয়। এই ঘাটতি পূরণে ও সকল গ্রাহকদের মাঝে বিদ্যুৎ বিতরণ প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে লোডশেডিং দেওয়া হয়। গ্রীষ্মকালের রোদের প্রখর তাপ ও গরমের হাত থেকে বাঁচতে ছোট চার্জার ফ্যান গুলো জাদুকরি ভূমিকা পালন করে। চার্জার ফ্যানের ব্লেড গুলি বাতাসের গতি কার্যকর ভাবে বাড়িয়ে মানুষকে ঠান্ডা বাতাস প্রদান করে।
চার্জার ফ্যানগুলো একটি চাপ ডিফারেন্সিয়াল তৈরি করে যা বাতাসকে জোর করে সামনের দিকে ঠেলে দেয়। ছোট চার্জার ফ্যানগুলো শীত ও তাপ নিয়ন্ত্রণে সিলিং ফ্যানের তুলনায় কম শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের সিলিং ফ্যানের পরিবর্তে ছোট চার্জার ফ্যানের দাম জেনে তা ক্রয় করে ব্যবহার করা উচিত।
ছোট চার্জার ফ্যানের দাম
গ্রীষ্মকালের অত্যাধিক গরম থেকে রেহাই পেতে অনেকেই হাত পাখা ব্যবহার করেন। তবে ঘরের বাইরে বেড়াতে গেলে এই সকল হাত পাখা সাথে রাখা যায় না। তবে আপনি চাইলে অল্প টাকা খরচ করে চার্জার ফ্যান কিনে তা সাথে নিয়ে যেকোনো জায়গায় যেতে পারেন।
মিনি চার্জার ফ্যান গুলোতে ব্যাটারি সিস্টেম ইনপুট করা থাকে। এই সকল ইনপুটকৃত ব্যাটারীতে বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করে পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যতীত ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে ছোট চার্জার ফ্যানের দাম আনুমানিক সর্বনিম্ন ১৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সিঙ্গার চার্জার ফ্যানের দাম কত
সিঙ্গার জাতীয় চার্জার ফ্যান গুলো স্ট্যান্ড এর মাধ্যমে যেকোনো জায়গায় রাখা যায়। এ জাতীয় ফ্যানগুলো সাধারণত টেবিলে স্ট্যান্ড করে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটু বাজেট বাড়ালে ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের সিংগার জাতীয় চার্জার ফ্যান পাওয়া যায়।
ডিফেন্ডার চার্জার ফ্যানের দাম কত
অনেক আগে থেকেই ডিফেন্ডার ফ্যান গুলো অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা প্রস্তুত করায় দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও ডিফেন্ডার চার্জার ফ্যান গুলোতে মোবাইল চার্জিং সিস্টেম থাকায় ফ্যান গুলো চার্জ করতে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। তাই এই জাতীয় ফ্যান এর দাম তুলনামূলক একটু বেশি হয়ে থাকে।
ডিফেন্ডার চার্জার ফ্যানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় অন্যান্য ফ্যানের তুলনায় ডিফেন্ডার চার্জার ফ্যান অধিক পরিমাণে শীতল বাতাস প্রবাহিত করতে সক্ষম। বর্তমানে ডিফেন্ডার চার্জার ফ্যান কিনতে আপনার সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
ওয়ালটন চার্জার ফ্যানের দাম ২০২৪
বাংলাদেশের নামকরা ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন কারী কোম্পানি গুলোর মধ্যে ওয়ালটন সবার উপরের সাড়িতে থাকে। ওয়ালটন কোম্পানি বহু আগে থেকেই অত্যন্ত সুনামের সাথে তাদের পণ্য বাজারজাত করে আসছে। উন্নত কোম্পানি দ্বারা পন্য প্রস্তুত করায় ওয়ালটন কোম্পানি সকলের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে।
ওয়ালটন প্রতিবছর বিভিন্ন মডেলের চার্জার ফ্যান প্রস্তুত করে এবং মডেল অনুযায়ী এই সকল চার্জার ফ্যানের দাম নির্ধারণ করে বাজারজাত করে। আপনি যদি লো বাজেটের চার্জার ফ্যান কিনতে চান তাহলে ওয়ালটন কোম্পানির চার্জার ফ্যান কিনতে হলে আপনার বাজেট একটু বাড়াতে হবে। কেননা ওয়ালটন কোম্পানির ছোট চার্জার ফ্যানের দাম সর্বনিম্ন ৩-৫ হাজার টাকা হয়ে থাকে।
বি আর বি চার্জার ফ্যানের দাম কত?
বিভিন্ন ধরনের ফ্যান তৈরিকৃত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বি আর বি কোম্পানি অন্যতম। বি আর বি কোম্পানি মূলত বেশি ভাগ সিলিং ফ্যান তৈরি করে থাকে। তবে বর্তমানে তারা সিলিং ফ্যানের পাশাপাশি চার্জার ফ্যান ও তৈরি করা শুরু করেছে। বি আর বি কোম্পানির চার্জার ফ্যান কিনতে হলে আপনাকে সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা বাজেট রাখতে হবে।
ছোট চার্জার ফ্যানের মডেল ও দাম
বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীর পতির হাত থেকে বাঁচতে চার্জার ফ্যান কেনার আগে ফ্যানের দাম সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী। এই সকল চার্জার ফ্যানগুলো বিভিন্ন কোম্পানি ও মডেলের উপর ভিত্তি করে দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। নিচে কিছু চার্জার ফ্যানের মডেল ও দাম দেওয়া হলো।
- WRPF06A (06″) price 1,790 tk
- WRTF9A (09″) price 2,390 tk
- WRTF14A (14″) price 4,490 tk
- W17OA-EM-MS (17″) price 5,990 tk
- W17OA-MS (17″) price 6,290 tk
শেষ কথা
আপনারা যারা ছোট চার্জার ফ্যানের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছিলেন আশা করছি জানতে পেরেছেন। এই সকল চার্জার ফ্যান কিনার ক্ষেত্রে এর ভিতরে থাকা ব্যাটারির দিকে বিশেষ নজর রাখা উচিত। কেননা ব্যাটারি দুর্বল হলে বেশি সময় ব্যবহার করা যায় না।