বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আপনি ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন না। কেননা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে ইউএসএসডি কোড ডায়াল করতে হয়। বাংলালিংক কোম্পানি দেশের অন্যতম টেলি সেবা প্রদান করে থাকে। banglalink কোম্পানির দেশের সর্বপ্রথম এমার্জেন্সি লোনের সিস্টেম চালু করেন। তারপর ধারাবাহিকভাবে দেশের সকল অপারেটর এ সার্ভিসটি চালু করেছেন।
বাংলালিংক হাওলাত সিস্টেমটি গ্রাহকগণ খুব আনন্দের সহিত উপভোগ করছে। কেননা বিপদের মুহূর্তে মূল ব্যালেন্সে দশ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করে থাকেন। এই টাকা পরবর্তী রিচার্জের মাধ্যমে কেটে নেওয়া হয়। আজকে আমি আপনাদেরকে দেখাবো কিভাবে বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড ডায়াল করে টাকা হাওলাত করতে হয়।
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড
*৮৭৪# এই কোডটি ডায়াল করে আপনি বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স লোন নিতে পারবেন। বাংলালিংক ইমারজেন্সি লোন শুধুমাত্র তারাই নিতে পারবেন যাদের ব্যালেন্স ৫ টাকার নিচে নেমে গেছে। পাঁচ টাকার বেশি ব্যালেন্স একাউন্টে থাকলে আপনি ইমার্জেন্সি লোন নিতে পারবেন না। বাংলালিংক ইমারজেন্সি ধার কিভাবে নিতে হয় তা আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার সুবিধা
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার অনন্য সুবিধার মধ্যে একটি। বাংলালিংক সিম আপনার ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে দশ টাকা থেকে প্রায় ২০০ টাকা পর্যন্ত হাওলাত দিয়ে থাকে। যা পরবর্তী রিচার্জের মাধ্যমে আপনার ব্যালেন্স সমন্বয় করা হয়ে থাকে।
ধরুন, আপনি এমন এক জায়গায় আছেন যেখানে আপনার চারপাশে কোন রিসার্চ করার সুবিধা নেই। ইতিমধ্য আপনার মোবাইলের ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেছে কিন্তু আপনার মোবাইলের ব্যালেন্স খুব প্রয়োজন বা জরুরী। সেই সময় আপনার একান্ত সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স। টাকা হাওলাত নেওয়ার কোডটি যদি আপনার জানা থাকে তাহলে খুব সহজেই টাকা নিতে পারবেন। এবং আপনার প্রয়োজনীয়তা সম্পন্ন করতে পারবেন এটি একটি দারুণ সুবিধা।
একইভাবে আপনি যদি চান তাহলে বাংলালিংক ইমারজেন্সি এমবি বা ইন্টারনেট ব্যালেন্স লোন নিতে পারেন।
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার অসুবিধা
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধা বেশ লক্ষণীয়। আপনি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার পূর্বে আপনার ব্যালেন্স চেক করে নিতে হবে কেননা 5 টাকার বেশি মূল ব্যালেন্স থাকলে বাংলালিংক সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
বাংলালিংক সিমে টাকা হাওলাত নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হচ্ছে প্রতিবার হাওলাত নেওয়ার পাশাপাশি দুই টাকা করে অতিরিক্ত কেটে নেওয়া হয়। অর্থাৎ আপনি যদি ২০ টাকা হাওলাত করেন তাহলে আপনার মূল ব্যালেন্সে ১৮ টাকা যোগ হবে। কিন্তু যখন আপনি রিচার্জ করবেন তখন আপনার কাছ থেকে ২০ টাকায় কেটে নেয়া হবে। আপনার ব্যালেন্সে তারা দিল 18 টাকা কিন্তু কেটে নিলো ২০ টাকা।
বাংলালিংকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার নিয়ম
বাংলালিংকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে মোবাইলের ডায়ালিংক অপশন থেকে ইউএসএসডি কোড ডায়াল করে। বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড হচ্ছে *৮৭৪# । *৮৭৪# এই কোডটি ডায়াল করার পর আপনার মুল ব্যালেন্সে টাকা যোগ করে দেওয়া হবে।
- প্রথম আপনার মোবাইলের ডায়াল অপশনে চনে যান
- এবং ডায়াল করুন *৮৭৪#
- এবার আপনার ব্যালেন্স চেক করুন
- কত টাকা দিছে সেটি নিশ্চিত হয়ে নিন
কত টাকা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স দেয় তার কোড
আমরা অনেকেই জানিনা আমাদেরকে কত টাকা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স দেওয়া হয়েছে। তাই রিচার্জের পর আমাদেরকে প্রায়ই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যে আমি তো এত টাকা হাওলাত করিনি কিন্তু আমাকে এত টাকা কেটে নেওয়া হল কেন। সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আজকের এই পোস্ট আপনাকে কত টাকা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স দিয়েছে তা জানার জন্য *৮৭৪*০# ডায়াল করতে হবে।
বাংলালিংক লোন নেওয়ার কোড
বাংলালিংক সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স দেখার কোড হচ্ছে *৮৭৪# যদি জরুরি লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে এই কোডটি ডায়াল করার মাধ্যমে নিতে হবে। ইমারজেন্সি লোন হিসাবে যে টাকা পাবেন তা দিয়ে আপনি সবকিছুই করতে পারবেন যেমন কল করা, এম্বি কেনা, মিনিট, এস এম এস ইত্যাদি সকল কিছুই আপনি কিনতে পারবেন।।
আর যদি আপনি ১০ টাকা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে চান তাহলে আপনাকে *৮৭৪*১০# কোড ডায়াল করতে হবে। আপনি এই *৮৭৪*১০# কোড টি ডায়াল করার মাধ্যমে আপনার আসল ব্যালেন্সে ১০ টাকা যোগ করে দেওয়া হবে। ১০ টাকা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে আপনার কাছ থেকে কোন অতিরিক্ত ভ্যাট কর্তন করা হবে না।
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স চেক কোড
আপনি যদি বাংলালিংক ইমারজেন্সি লোন নিয়ে থাকেন তাহলে সেটি চেক করা প্রয়োজন। বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স চেক করার কোডটি হচ্ছে *৮৭৪*০# অথবা *১২১*১# । *৮৭৪*০# অথবা *১২১*১ কোড ডায়াল করার মাধ্যমে সহজেই ইমারজেন্সি ব্যালেন্স চেক করে নিতে পারবেন।
আপনি কি বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পাবেন?
যদি আপনি একবার ইমারজেন্সি ঋণ নিয়ে থাকেন তাহলে সেই ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত পুনরায় ইমারজেন্সি লোন পাবেন না। বাংলালিংক সিম কোম্পানি পরপর দুইবার ইমারজেন্সি ব্যালেন্স প্রদান করেনা। এবং আপনার ব্যালেন্সে যদি পাঁচ টাকার নিচে থাকে তাহলেই ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পাবেন কিন্তু ৫ টাকার অধিক ব্যালেন্স থাকলে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন না
এছাড়াও আপনি বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্সের জন্য প্রযোজ্য কিনা সেটি চেক করার জন্য এক্টি কোড রয়েছে। কোডটি হল *৮৭৪*৯# এই কোড টির মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনি কত টাকা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পাবেন বা ইমারজেন্সি আওতায় আছেন কিনা।
ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার শর্ত সমূহ
ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। এই শর্তগুলো মেনে আপনাকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স গ্রহণ করতে হবে। নিচের শর্তগুলো ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হলো
- ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার মূল অ্যাকাউন্ট চেক করে নিতে হবে। মূল ব্যালেন্সের উপর নির্ভর করে আপনার ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের আওতায় আছেন কিনা। অর্থাৎ আপনার ব্যালেন্সের যদি পাঁচ টাকার কম থাকে তাহলে ইমারজেন্সি পাবেন। পাঁচ টাকার বেশি থাকলে ইমার্জেন্সি গ্রহণ করতে পারবেন না।
- আপনি যদি 10 টাকার বেশি ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে থাকেন তাহলে অতিরিক্ত ব্যাট হিসেবে দুই টাকা চার্জ যুক্ত করা হবে। অর্থাৎ আপনি যদি ৩০ টাকা ইমার্জেন্সি লোন নেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ২৮ টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু ঋণ পরিশোধ করার সময় আপনার কাছ থেকে ৩০ টাকা কেটে নেওয়া হবে।
- আপনার যদি একবার ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়া থাকে সেই লোনটি পরিশোধ না করা পর্যন্ত পুনরায় লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। কেননা Banglalink কোম্পানির একবার লোন দেয় উক্ত লোন পরিশোধ না করা পর্যন্ত নতুন লোন নেয় না।
- আপনি যদি বাংলালিংকের নতুন একটি সংযোগ কিনেন তাহলে আপনাকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে এক মাস অপেক্ষা করতে হবে। একটি সিমের বয়স এক মাস না হওয়া পর্যন্ত ইমারজেন্সি ব্যালেন্স দেওয়া হয় না।
আরো জানুনঃ
- বাংলালিংক অফিস নাম্বার
- বাংলালিংক বন্ধ সিমের অফার
- বাংলালিংক এমবি অফার ২০২৩
- বাংলালিংক ফ্রি এমবি কোড
- বাংলালিংক নাম্বার চেক কোড
- বাংলালিংক এমবি কেনার সকল কোডসমূহ
- বাংলালিংক মিনিট চেক কোড
- বাংলালিংক ৩০ টাকায় ৫০০ এসএমএস
শেষ কথা
আশা রাখতেই পারি আর্টিকেলটি আপনার খুব ভালো লেগেছে এবং আপনার কাঙ্ক্ষিত সমস্যার সমাধান পেয়েছেন। বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড জানা থাকলে খুব সহজেই ইমারজেন্সি ব্যালেন্স গ্রহণ করতে পারবেন। সেই কারণে সকল বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের উচিত বাংলালিংক হাওলাত নেওয়ার কোড মুখস্ত করে রাখা।
Comments are closed.