কিডনি মানব শরীরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে একটি। মানব শরীরের দুটি কিডনি অকেজ হয়ে গেলে বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। মানব শরীরের একটা কিডনির দাম অনেক বেশি টাকা হওয়ায় সকলের পক্ষে কিডনি ক্রয় করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কারো থেকে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠা যায় অন্যথায় কিডনি ক্রয় করার প্রয়োজন পড়ে।
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই কিডনি বেচা কেনা করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে কেউ যদি নিকট আত্মীয়কে কিডনি দান করতে চায় তাহলে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারবে। বাংলাদেশের অনেক অসাধু লোক ক্যান্সার ও মাদকাসক্ত এমন লোকের কিডনি অপসারণ করে এবং তা সংরক্ষণ করে রাখে। যা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধ ভাবে বিক্রি করে থাকে।
একটা কিডনির দাম কত
বাংলাদেশে অনেক সময় অনেকের মানব শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। বাংলাদেশের এমন অসংখ্য প্রতিষ্টান রয়েছে যারা কিডনি বিক্রি করে থাকে। বর্তমানে মানব শরীরের একটা কিডনির দাম আনুমানিক ৬-৭ লাখ টাকা থেকে ১৫-১৬ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ কিডনির দাম ২০২৪
কিডনি বেচাকেনা করার অনুমতি থাকলে বন্য পশুর মত মানুষকেও হত্যা করে তার কিডনি বের করে নেওয়ার মতো জঘন্য অপরাধ ঘটার আশঙ্কা তৈরি হতো। যার কারণে বাংলাদেশের সংবিধানে কিডনি বেচা কিনি করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা কে তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশে অনেকেই অবৈধ ভাবে আনুমানিক ৫-১২ লাখ টাকায় কিডনি বেচাকেনা করে।
মানুষের দুইটি কিডনির দাম কত
একজন মানুষকে সুস্থ রাখতে হলে তার দুটি কিডনি সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরী। তবে একটি কিডনি নষ্ট হলে অপর কিডনি দ্বারা মানুষ সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারে। একজন মানুষের বয়স অনুযায়ী তার কিডনির দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে মানুষের দুইটি কিডনি ক্রয় করতে হলে আনুমানিক ১২ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে।
মৃত মানুষের কিডনির দাম ২০২৪
মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর বেশ কিছু সময় যাবত তার দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অক্ষত থাকে। যার কারণে বাংলাদেশের অনেকেই জীবিত থাকা কালীন তাদের শরীরের কিডনি দান করে থাকে এবং মৃত্যুর পর দানকৃত কিডনি তাদের শরীর থেকে অপসারণ করা হয়। অপসারণ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মৃত ব্যক্তির কিডনি অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গ খুলে নেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে অনেক অসাধু লোক মানুষের মৃত্যুর পর তার শরীর থেকে বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অপসারণ করে অবৈধভাবে বিক্রি করে থাকে। এই সকল অসাধু লোক মৃত মানব শরীর থেকে যে কিডনি অপসারণ করে তার একটা কিডনির দাম লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ভারতে কিডনির দাম কত
বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেও বাংলাদেশের মত কিডনি বেচা কিনি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হওয়া সত্বেও ভারতের অনেকেই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিডনি বেচা কেনার মত জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করে থাকে। ভারতে অবৈধভাবে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকায় কিডনি বেচা কেনা করা হয়।
শেষ কথা
বর্তমানে বাংলাদেশে একটা কিডনির দাম লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে অনেক অসাধু লোক অসুস্থ ব্যক্তির কিডনি বিক্রি করে থাকে। প্রতিস্থাপন করার ক্ষেত্রে অসুস্থ কোন ব্যক্তির কিডনি প্রতিস্থাপন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় লাখ লাখ টাকা খরচ করে কিডনি প্রতিস্থাপন করে কোন উপকার পাওয়া যাবে না।