পাহাড়পুর সম্পর্কে ১০টি বাক্য জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার একটি অমর কীর্তি হিসেবে বিবেচিত। পাহাড়পুর প্রাচীন স্থাপত্যশৈলী, সংস্কৃতি ও বৌদ্ধ ধর্মের গৌরবের প্রতীক। বাঙ্গালিদের হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে পাহাড়পুর ঘিরে। পাহাড়পুর সম্পর্কে সাধারণত শিক্ষার্থীদের পরিক্ষায় ৫টি বাক্য ও ১০টি বাক্য এসে থাকে। আসুন তবে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার সম্পর্কে ১০টি বাক্য জেনে নিই। প্রত্যাশা করি এই ১০টি বাক্য পরিক্ষার ফলাফল সর্বোত্তম হবে।
আরও জানতে পারেনঃ জুলাই বিপ্লব সম্পর্কে ১০টি বাক্য
পাহাড়পুর সম্পর্কে ১০টি বাক্য
নিচে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার সম্পর্কে ১০টি বাক্য সুবিনস্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে:
- পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার যা সোমপুর মহাবিহার নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় অবস্থিত।
- এই বিহারটি পাল রাজবংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল দেব অষ্টম শতকের শেষদিকে বা নবম শতকে নির্মাণ করেন।
- ১৮৭৯ সালে স্য Angrez প্রত্নতত্ত্ববিদ স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই প্রাচীন স্থাপনাটি আবিষ্কার করেন।
- ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো পাহাড়পুরকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
- পাহাড়পুর বিহারটি প্রায় ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধ ধর্মচর্চা ও জ্ঞানচর্চার একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল।
- পাহাড়পুর ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহারগুলোর মধ্যে একটি। যার আয়তন নালন্দা মহাবিহারের সমতুল্য।
- বিহারের কেন্দ্রীয় মন্দিরটি ক্রুশাকৃতির ও এর দেয়ালে প্রায় ২,০০০ পোড়ামাটির ফলকচিত্র রয়েছে।
- পাহাড়পুরে খননকাজে খলিফা হারুন আল রশিদের সময়ের রৌপ্য মুদ্রাসহ বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে।
- এই বিহারে চীন, তিব্বত, মায়ানমার, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে বৌদ্ধরা জ্ঞানার্জনের জন্য আগমন করতেন।
- . পাহাড়পুরের সংলগ্ন জাদুঘরে এখান থেকে উদ্ধারকৃত মূর্তি, মুদ্রা ও শিলালিপি সংরক্ষিত আছে।
আরও জানতে পারেনঃ জয়নুল আবেদীন সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
শেষ কথা
আশা করি, এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার সম্পর্কে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের কাছে তুলে ধরতে পেরেছি। লেখাটি সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে পারেন। শিক্ষা বিষয়ক তথ্য আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।


